সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের রূপ দেখে অভিভূত হলেন ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ। তিনি সুন্দরবনের নদী ঘুরে দুই তীরের সৌন্দর্য অবলোকন করেন। রাজকুমারী বুধবার সকালে কক্সবাজার থেকে হেলিকপ্টারযোগে শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের টাইগার পয়েন্টে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। এসময় তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির ও পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান। পরে ম্যারি এলিজাবেথ গাড়িতে চড়ে তিন কিলোমিটার দূরে সুন্দরবনের চুনা নদীর তীরে কুলতলি গ্রামে যান। সেখানে তিনি কিছুক্ষণ পায়ে হেঁটে গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন। এসময় গ্রামের সাধারণ নারী-পুরুষ তাকে স্বাগত জানান। ওই গ্রামে প্রিন্সেস ম্যারি কিছুক্ষণের জন্য আড্ডায় মেতে ওঠেন স্কুলগামী শিশুদের সঙ্গেও। তিনি পুষ্পা রানী মণ্ডল ও শিলা রানী মণ্ডলের বাড়িতে কয়েক মিনিটের জন্য অতিথি হন। প্রিন্সেস ম্যারি বেসরকারি সংস্থা সিএনআরএস কর্তৃক খননকৃত একটি খাল পরিদর্শন করেন। এই খালের পানি দিয়ে ধান ও শাকসবজিতে ভরে ওঠা ফসলি ক্ষেতও পরিদর্শন করেন। এসময় খালের উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিদর্শনকালে ডেনিশ রাজকুমারী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে অবহিত হন এবং দুর্যোগকালে ব্যবহারের জন্য একটি সাইক্লোন শেল্টার পরিদর্শন করেন। গ্রামে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে পায়ে হাঁটেন প্রিন্সেস ম্যারি এলিজাবেথ। পরে সফরসঙ্গীদের নিয়ে মুন্সিগঞ্জের বরসা রিসোর্টে এসে মধ্যাহ্নভোজন সারেন। এর পর মুন্সিগঞ্জ নদীর ঘাটের পন্টুন থেকে স্পিডবোটে রাজকুমারীকে নিয়ে যাওয়া হয় কলাগাছিয়ায় ফরেস্ট টহল ক্যাম্প চত্বরে। সেখানে পুকুরের মিষ্টি পানি খাওয়ার জন্য প্রায়ই বাঘ আসে। সেখানে রয়েছে বাঘের পায়ের ছাপ, মৃত বাঘের কবর। ঘুরে ঘুরে এসব দেখেন তিনি। প্রিন্সেস ম্যারি তার কয়েক ঘণ্টার সুন্দরবন সফর শেষে বিকালে হেলিকপ্টারে ঢাকায় ফিরে যান।
Discussion about this post