ঢাকা: অনিয়মের অভিযোগে আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এদের মধ্যে সাতজন চিকিৎসক ও তিনজন ঠিকাদার। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, আসামিরা একে অপরের সহায়তায় অসৎ উদ্দেশে লাভবান হওয়ার উদ্দেশে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মেডিসিন অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট টেন্ডারের এর মাধ্যমে কেনাকাটার ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০১৮ লঙ্ঘন করে। তিনি বলেন, আসামিরা বর্তমান বাজারদর আমলে না নিয়ে গঠিত বাজার কমিটির প্রথম মনগড়া ও ভিত্তিহীন দরকে বিবেচনায় নিয়ে এমআরপি ওয়েবসাইট এর উত্তরপত্র মূল্যায়নের মাধ্যমে মালামাল ক্রয় করে মোট এক কোটি ২৮ লাখ ৬৩ হাজার ২৪১ টাকা আত্মসাৎ করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। চার্জশিটে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- মেসার্স মনার্ক এস্টাব্লিশমেন্টের স্বত্বাধিকারী ফাতেনূর ইসলাম, নাফিসা বিজনেস কর্ণার স্বত্বাধিকারী শেখ ইদ্রিস উদ্দিন (চঞ্চল), সান্ত্বনা ট্রেডার্সেন স্বত্বাধিকারী নিজামুর রহমান চৌধুরী, আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইসরাত জাহান, প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডা. পারভীন হক চৌধুরী (বর্তমানে অব.), প্রাক্তন জুনিয়র কনসালটেন্ট (অস/গাইনি) মাহফুজা খাতুন (অবসরপ্রাপ্ত), প্রাক্তন সহকারী কো-অর্ডিনেটর (ট্রেনিং এন্ড রিসার্স)ডা. চিন্ময় কান্তি দাস (অবসরপ্রাপ্ত), জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাবেক মেডিকেল অফিসার ও বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডা. বেগম মাহফুজা দিলারা, ডা. নাজরীনা বেগম ও সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা, মো. জহিরুল ইসলাম।
Discussion about this post