কক্সবাজার প্রতিনিধি: বিধিনিষেধ না মেনে সাগরে নামার কারণে কক্সবাজারের সৈকতকেন্দ্রিক প্রাণহানি কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লোকজনও জানে না সৈকতে লাগানো লাল এবং লাল-হলুদ পতাকার সংকেত সম্পর্কে। এ ছাড়া জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম কম থাকার কথা জানান লাইফ গার্ড কর্মীরা। পর্যটকদের সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান তাদের। সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের গর্জন বারবারই টানে ভ্রমণপিপাসুদের। তাইতো কোনো সুযোগ পেলেই পর্যটকরা ছুটে আসেন নীল জলরাশির সৌন্দর্যে। মহামারির কারণে দীর্ঘদিন পর হাজার হাজার মানুষের পদচারণায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। অনেকে বিপৎসীমা অতিক্রম করে সাগরের নোনাজলে সাঁতার কাটেন। এতে বাড়ছে ঝুঁকি। প্রতিটি পয়েন্টে লাইফ গার্ড কর্মী আছেন মাত্র ৩ থেকে চারজন। সৈকতের প্রবেশদ্বারগুলোতে নেই সমুদ্রস্নানের নির্দেশনা। তবে সৈকতের বালিয়াড়িতে টাঙানো আছে সংকেতবাহী লাল ও লাল-হলুদ পতাকা। কিন্তু এসব রঙের পতাকার অর্থই জানেন না পর্যটকরা। প্রতিটি পয়েন্ট অমান্য করে দিব্যি বিপজ্জনক জায়গায় যাচ্ছেন তারা। ভাটার সময় ভেসে উঠছে সৈকতের বালিয়াড়ির গর্তগুলো। এতে সমুদ্রস্নান অনিরাপদ হলেও লাইফ গার্ড কর্মীরা তা মানতে নারাজ। পর্যটকদের অসচেতনতাকেও দুষছেন তারা। লাইফগার্ড কর্মীরা বলছেন, আমরা জোয়ারের সময় কোন জায়গায় গর্ত আছে, কোথায় নেই তা চিহ্নিত করতে পারি না। আর কথা না শুনে অনেককে বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। হাজার হাজার পর্যটকের সমুদ্র স্নানে নিরাপত্তায় লাইফ গার্ড কর্মীর যেমন রয়েছে স্বল্পতা পাশাপাশি উদ্ধার সরঞ্জামাদির সংকট রয়েছে বলে জানান সংস্থাটির কর্মকর্তা। কক্সবাজার সী সেইফ লাইফ গার্ড সংস্থার প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, লাল পতাকা থাকা সত্ত্বেও অনেকেই কিন্তু নির্দেশনা না মেনে গোসল করতে নামছে। এক্ষেত্রে পর্যটকদেরও অনেক বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। গত ৫ বছরে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে মৃত্যু হয়েছে ১৯ পর্যটকের, উদ্ধার করা হয়েছে ৩৫৪ জনকে। আর সমুদ্র স্নানে পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন দুই শিফটে মাত্র ২৭ জন কর্মী।
Discussion about this post