বরিশাল প্রতিনিধি: বন্দরের একটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে দুর্ধর্ষ চুরির পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের ধাওয়ার মুখে পড়ে একটি মানিব্যাগ ও একটি মোবাইল ফোন ফেলে পালিয়েছে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের এক সদস্য। ওই মানিব্যাগের মধ্যে পাওয়া গেছে এক চোরের জাতীয় পরিচয়পত্র। চুরির ঘটনার সাতদিন অতিবাহিত হলেও স্থানীয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে চোর শনাক্তে নানা তালবাহানা শুরু করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার সরিকল বন্দরের। শুক্রবার সকালে ওই বন্দরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী নেছার উদ্দিন বেকারীর মালিক সাইফুল ইসলাম বিটু জানান, গত ৩১ মার্চ দিবাগত ভোররাতে তার মালিকানাধীন বেকারীর চালার টিন কেটে ভেতরে প্রবেশ করে সংঘবদ্ধ চোরেরা। তারা ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে নগদ দুই লাখ ৯০ হাজার ৯৫০ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, চুরি করে পালিয়ে যাবার সময় বন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী বিষয়টি টের পেয়ে চোরদের ধাওয়া করে। বন্দরের ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী সাফায়াত হোসেন চোরদের ফেলে যাওয়া একটি মানিব্যাগ ও একটি মোবাইল ফোন পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে প্রদান করেন। চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন মোল্লা জানান, চোরদের ফেলে যাওয়া মানিব্যাগের মধ্যে একটি জাতীয়পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, মানিব্যাগ, এনআইডি কার্ড ও মোবাইল ফোনটি সরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ফোরকান হাওলাদারের কাছে জমা দিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বেকারীর মালিক সাইফুল ইসলাম বিটু অভিযোগ করেন, ঘটনার একসপ্তাহ অতিবাহিত হলেও অদ্যবর্ধি চোর সনাক্ত কিংবা চুরিকৃত টাকা উদ্ধার করতে পুলিশ নানা তালবাহানা শুরু করেছে। এ বিষয়ে সরিকল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই ফোরকান হাওলাদার বলেন, বিষয়টি তদন্ত চলছে। চোর সনাক্তের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে তিনি (এসআই ফোরকান) তদন্তের স্বার্থে উদ্ধার হওয়া এনআইডি কার্ডের কোন তথ্য দিতে রাজি হনননি।
Discussion about this post