আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমার জান্তা সরকারকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে কয়েকটি কোম্পানি এবং একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। দেশটির নাগরিকদের ওপর সেনাবাহিনীর সদস্যদের নৃশংস দমন-পীড়ন ও তাদেরকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য জানায়, মিয়ানমারের ডা. অং মোয় মিন্ট, অং হদ্মাইং ও জেনারেল তুন অংয়ের সম্পদ জব্দ করাসহ যুক্তরাজ্যে তাদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ ছাড়া ডাইনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড, মিয়ানমার কেমিক্যাল অ্যান্ড মেশিনারি কোম্পানি লিমিটেড এবং মিয়া উইন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সম্পদ জব্দের ঘোষণাও দিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করারও কথা বলা হয় বিবৃতিতে। দেশটির এশিয়া বিষয়ক মন্ত্রী আমান্ডা মিলিং বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া জনগণের বিরুদ্ধে সহিংস অভিযান বন্ধ করার কোনো লক্ষণ দেখায়নি। যারা সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে যা সারা দেশে এর অপব্যবহারের সুবিধা করে দেয় তাদের লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে। পৃথক বিবৃতিতে কানাডা জানায়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জন্য অস্ত্র ক্রয় এবং সরবরাহের জন্য দায়ী চার ব্যক্তি এবং দুটি কোম্পানির বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আর যুক্তরাষ্ট্র তিন অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত দুটি কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ থাকা অস্ত্র ব্যবসায়ী তাই জার ওপরও নতুন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ ছাড়া মিয়ানমারের দুটি শহরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগে দুই কমান্ডারসহ দেশটির সেনাবাহিনীর ৬৬তম লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের ওপরও অবরোধ আরোপ করা হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
Discussion about this post