ঢাকা: অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দেওয়াসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় দুই শতাধিক আন্দোলনকারী নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন। এতে জনদুর্ভোগে পড়েন ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীরা। শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন করা না হলে আমরণ অনশনসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের একজন কবি নজরুল সরকারি কলেজের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া বলেন, ‘আমাদের ইনকোর্স পরীক্ষা নেওয়া হয় কিন্তু মূল নম্বরের সঙ্গে এটা যোগ করা হয় না। দর্শন বিভাগের যেসব শিক্ষার্থী আছে তাদের প্রশ্নের মানবণ্টন পরিবর্তন করতে হবে এবং সাত কলেজে যেভাবে গণহারে ফেল করিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেটার বিষয়ে সুষ্ঠু ও স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে আমরা রাজপথ ছাড়ব না। প্রয়োজন হলে আমরণ অনশনে বসব।’ অবরোধে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে সিজিপিএ শিথিল করা হয়েছে। এবার করোনাকালীন সময় বিবেচনা করে শেষবারের মতো প্রয়োজনে লিখিত নিয়ে মানবিক বিবেচনায় ১ম, ২য়, ৩য় বর্ষের সব বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদেরকে পড়ার টেবিলে বসার সুযোগ করে দিতে হবে। তা না হলে, এখানেই আমাদের শিক্ষা জীবনের ইতি টানতে হবে।’ আন্দোলনকারীরা আরও বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ ও সাত কলেজের নানা সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে লিখিত আকারে ডকুমেন্ট রেখে শেষবারের মতো ১ম, ২য়, ৩য় বর্ষের সব বিভাগের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদেরকে মানবিক দৃষ্টিতে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দিয়ে পড়ার টেবিলে বসার সুযোগ দিন, এটাই আমাদের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি।’ শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিসমূহ: ১. করোনা সংক্রমণের কারণে ২০১৭-১৮, ১৮-১৯, ১৯-২০ সেশনের সব বিভাগের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের প্রমোশন দিয়ে পরবর্তী বর্ষে পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে। ২. দর্শন বিভাগের প্রশ্নের মান বণ্টন পরিবর্তন করতে হবে। ৩. গণহারে ফেল করার কারণ ও প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং এর স্থায়ী সমাধান করতে হবে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৬ মার্চ একই দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।
Discussion about this post