পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার এলজিইডর দুইজন প্রকৌশলীকে মারধর, সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে পটুয়াখালীর দুমকী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ নাজিম উদ্দীন বাদী হয়ে ৬ মার্চ রাতে ঠিকাদার গোলাম সরোয়ার বাদলকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৫/৩৬, তারিখ ঃ ০৬-০৩-২২। এ দিকে এ ঘটনায় এজিইডির ত্বত্ত্বাবদায়ক প্রকৌশলীসহ অন্যান্য প্রকৌশলীরা ঠিকাদার গোলাম সরোয়ার বাদলের বিচারের দাবীতে পটুয়াখালী এলজিইডির সামনে মানববন্ধন করেছে। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, পটুয়াখালী মেসার্স পল্লী ট্রেডার্স’র মালিক গোলাম সরোয়ার বাদল রোববার বেলা ১১ টার দিকে দুমকি এলজিইডির কার্যালয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সালামের সঙ্গে পুরোনো একটি বিল নিয়ে বাকবিত-া ও তাকে মারধোর করে আমার অফিস কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি বিল নিয়ে কথা বলতে চাইলে আমি পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে আলোচনা ও সমন্বয় করার পরামর্শ দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি আমার টেবিলের উপরে রাখা গ্লাসভর্তি পানি আমার মুখে ছুড়ে মারেন। এক পর্যায়ে চেয়ার ছুড়ে ফেলে আমার বাম গালে চড়থাপ্পড় মারেন। এসময় তিনি তার কোমরে থাকা পিস্তল দেখিয়ে আমাদের ভয়-ভীতি দেখান। ঠিকাদার বাদলের ডাক চিৎকারে উপজেলা পরিষদের অন্যান্য লোকজন এসে তাকে নিবৃত করেন। তিনি চলে যাওয়ার সময় তার সাথে থাকা পিস্তল দেখিয়ে বলেন, আজকের মধ্যে বিল না দিলে তোদেরকে দেখে নিবো। মামলার স্বাক্ষী এবং মারধোরের শিকার একই অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সালাম বলেন, ২০১৬ সালে গোলাম সরোয়ার বাদল দুমকী উপজেলার পাঙ্গাশিয়ার একটি ব্রিজ নির্মাণ করেন। কাজ শেষ হলেও র্নিমাণাধীন ব্রীজে নানা ত্রুটি থাকায় কাজের অনুকূলে অর্থ পরিশোধ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। কিন্তু ঠিকাদার বাদল রোববার আমার কাছে এসে শতভাগ বিল দাবি করেন। তার দাবির বিপরীতে আমি আপত্তি জানিয়ে বলি, উল্লেখিত প্রকল্পে যৌথ মেজারমেন্ট করে বাকি বিল পরিশোধ করা হবে। এতে ঠিকাদার বাদল রাগান্বিত হয়ে আমাকে চড়থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। পরে তিনি উপজেলা প্রকৌশলীর কক্ষে গিয়েও একই কা- ঘটান। এ ব্যাপারে মামলার আসামি গোলাম সরোয়ারের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, পুরোনো একটি বিল নিয়ে এলজিইডি টালবাহানা শুরু করে দুমকী উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আ. সালাম ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা সালামকে প্রদান করি। কিন্তু সালাম ওই টাকা হাতে নিয়ে বাকি টাকার দাবি করে বিল দিতে অস্বীকার করলে আমি তার গায়ে হাত তুলতে বাধ্য হই। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কিছু হয়নি।
Discussion about this post