আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে চলমান বিচারের সমালোচনা করেছেন যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় একদল আইনজীবী। তারা এই বিচারপ্রক্রিয়াকে সাজানো এবং অন্যায্য বলে দাবি করেছেন। দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে। প্রতিবদেন বলছে, এ বিষয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন ওই আইনজীবীরা। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলামকে লেখা এক চিঠিতে সাবেক বিচারমন্ত্রী রবার্ট বাকল্যান্ড কেসি, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ডমিনিক গ্রিভসহ বিশিষ্ট কয়েকজন আইনজীবী অভিযোগ করেছেন, সিদ্দিক তার বিচারে মৌলিক অধিকার পাননি। তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে বা তিনি আইনজীবীর সহায়তা পেয়েছেন কি না—এসব মৌলিক অধিকার থেকেও তিনি বঞ্চিত বলে তারা উল্লেখ করেন।আইনজীবীদের এই দলে আরও রয়েছেন চেরি ব্লেয়ার কেসি, ফিলিপ স্যান্ডস কেসি এবং জিওফ্রি রবার্টসন কেসি। তারা দাবি করেন, যে আইনজীবীকে সিদ্দিক নিজের পক্ষে নিয়োগ করেছিলেন, তাকে গৃহবন্দি করা হয়েছিল এবং তার মেয়েকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তাদের ভাষায়, “এ ধরনের প্রক্রিয়া কৃত্রিম—মনগড়া এবং অন্যায্যভাবে মামলা চালানোর একটি উপায়।”সিদ্দিক এবং তার খালা, মা, ভাই-বোনসহ আরও বহুজনের বিরুদ্ধে গত আগস্টের শুরু থেকে ঢাকায় বিচার চলছে।লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার খালা শেখ হাসিনার প্রভাব ব্যবহার করে ঢাকার এক উপশহরে তার মায়ের জন্য একটি প্লট বরাদ্দ করিয়েছিলেন। হাসিনা গত বছর প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হন।সিদ্দিক অভিযোগগুলো অস্বীকার করে বলেছেন, এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।তারা বলেন, “যেহেতু সিদ্দিক যুক্তরাজ্যে থাকেন এবং তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক, তাই তাকে পলাতক বলা যায় না। তিনি নির্বাচিত এমপি। তাকে হাউস অব কমন্সে যোগাযোগ করা যায় এবং যদি সঠিক ভিত্তি থাকে তবে তাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণও করা যেতে পারে।”“সিদ্দিককে অভিযোগপত্র ও প্রমাণাদি দেখানো হয়নি, এমনকি তিনি আইনগত সহায়তাও পাননি।যে আইনজীবীকে তিনি নিয়োগ করেছিলেন, তাকে গৃহবন্দি করা হয় এবং তিনি জানান তার মেয়েকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।”টিউলিপ সিদ্দিক সম্পর্কে বাংলাদেশের ক্ষমতাচুত্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাতিজি।
























































Discussion about this post