ঢাকা: গত মাসে রক্তক্ষয়ী সীমান্ত সংঘর্ষের পর ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা কমাতে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আবারও আলোচনায় বসতে চলেছে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের প্রতিনিধিরা। এর আগে একই শহরে টানা পাঁচ দিনের আলোচনার পর দুই প্রতিবেশী একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি করেছিল, তবে তা শেষ মুহূর্তে ভেস্তে গিয়েছিল।জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, কাতারে প্রথম দফার আলোচনার পর গত ২৫ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু হয়েছিল। তালেবান প্রতিনিধিদলের ‘যুক্তি’ এবং ‘সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের’ বিষয়ে ইসলামাবাদের উদ্বেগের সমাধানে অস্বীকৃতি জানানোর পর সেই আলোচনা ভেস্তে যায়। তবে মধ্যস্থতাকারীরা পাকিস্তানের অনুরোধে আলোচনার আরেকটি সুযোগ দিলে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার জন্য একটি চুক্তি হয়।পূর্ববর্তী দফার আলোচনার শেষে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সমস্ত পক্ষ যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে এবং শান্তি নিশ্চিত করার জন্য একটি পর্যবেক্ষণ ও যাচাইকরণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে এবং যেকোনো লঙ্ঘনের শাস্তি দিতে সম্মত হয়েছে।আফগানভিত্তিক টোলো নিউজ সূত্রে জানা গেছে, আফগানিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান আব্দুল হক ওয়াসিক ইস্তাম্বুলে আফগান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। অন্যদিকে, পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান অসীম মালিক।২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে পাকিস্তানে সশস্ত্র হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে। ইসলামাবাদ সরকার বারবার তালেবান সরকারকে পাকিস্তানে হামলাকারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে লাগাম টানার আহ্বান জানিয়েছে।জিও নিউজ জানিয়েছে, তালেবান সরকার মূলত পাকিস্তানের দাবির প্রতি উদাসীন এবং নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো একাধিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছে।সাম্প্রতিক উত্তেজনা শুরু হয় গত ১২ অক্টোবর, যখন কাবুলে ‘সশস্ত্র গোষ্ঠীর’ নেতাকে লক্ষ্য করে পাকিস্তানের বিমান হামলার পর উভয় দেশের সীমান্তে গোলাগুলি শুরু হয়। এই সংঘর্ষে ২০০ জনেরও বেশি তালেবান ও সংশ্লিষ্ট যোদ্ধা এবং ২৩ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হন।
























































Discussion about this post