আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিপাইনে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে শক্তিশালী টাইফুন কালমেগি (স্থানীয় নাম টিনো)। ঝড়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ১১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর ১২৭ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। দেশের বিস্তৃত অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ফের্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র।বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফিলিপাইনের জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের এক ব্রিফিংয়ে প্রেসিডেন্ট মার্কোস এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এই ঘোষণা দ্রুত উদ্ধার, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা এবং জরুরি তহবিল ব্যবহারে সহায়তা করবে।প্রেসিডেন্ট আরও জানান, টাইফুন টিনো (কালমেগি) এবং আসন্ন উয়ান—দুটি ঘূর্ণিঝড়ই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। কমপক্ষে ১০ থেকে ১২টি অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, বলেন তিনি।দেশটির সিভিল ডিফেন্স বিভাগের উপ-মুখপাত্র দিয়েগো মারিয়ানো জানান, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সেন্ট্রাল ভিসায়াস অঞ্চলে, যেখানে অন্তত ৮২ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যম ইনকোয়ারার জানায়, টাইফুন টিনোর প্রচণ্ড বাতাসে বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে, এবং বহু এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যমতে, কালমেগি বৃহস্পতিবার সকালে ফিলিপাইন অঞ্চল অতিক্রম করলেও লুজন ও মিন্ডানাও এলাকায় এখনো বৃষ্টি হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত এবং প্রায় ১৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সেন্ট্রাল ভিসায়াস ও সেবু প্রদেশ।ভারি বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে বহু সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সেবু প্রদেশে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে বহু মানুষ নিহত ও হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়েছিলেন। বর্তমানে সেনা ও উদ্ধারকর্মীরা দুর্গম এলাকায় পৌঁছে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।উল্লেখ্য, টাইফুন কালমেগি মঙ্গলবার ভোরে ভিসায়াস অঞ্চলের সাউদার্ন লেইতে ও সেবু প্রদেশে আঘাত হানে। বর্তমানে এটি দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করেছে এবং শুক্রবার ভিয়েতনামে পুনরায় আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
























































Discussion about this post