ঢাকা: কারা অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশন কর্তৃক দখল হওয়া প্রতিষ্ঠানের জমি আগামী ৩ মাসের মধ্যে উদ্ধার, শিক্ষার্থীদের জন্য হল নির্মাণ ও হল সুপারের বাসভবন ভাঙার দরপত্র বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা আলিয়া মাদরাসার সাবেক শিক্ষার্থীরা। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদরাসা ই আলিয়া সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুছ ছবুর মাতুব্বর। লিখিত বক্তব্যে তিনি ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বকশিবাজারে অবস্থিত সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়ার হল সুপারের বাসভবন ভেঙে মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণ বন্ধের দাবি জানান। দাবিগুলো হচ্ছে- ঢাকা আলিয়া মাদরাসার বর্তমান অধ্যক্ষের আর্থিক অনিয়ম দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে সুষ্ঠ অনুসন্ধান করে বিচারের কাঠগড়ায় আনতে হবে এবং চাকরিচ্যুত করতে হবে। মাদরাসার হল সুপার ও সহহল সুপারের বাসভবন ভেঙে ফেলার ওয়ার্ক অর্ডার ২৪ ঘন্টার মধ্যে বাতিল ঘোষণা করতে হবে। ছাত্রদের নামে দায়ের করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, কারা অধিদপ্তর ও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক দখলকৃত আলিয়া মাদরাসার জমি আগামী ৩ মাসের মধ্যে ফেরত দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য আরও আবাসিক হল নির্মাণ করতে হবে। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সরকারের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কিছু সংখ্যক কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পড়েছে মাদরাসাটি। তারা ‘মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ভবন’ তৈরি করার নামে মাদরাসার একমাত্র ছাত্রাবাস আল্লামা কাশগরী হলের সুপার ও সহ-সুপারের বাস ভবন ভেঙে ফেলার জন্য দরপত্র দিয়েছে অতঃপর ওয়ার্ক অর্ডার (কার্যাদেশ) ইস্যু করেছে। আমরা প্রাক্তন ছাত্ররাসহ আলিয়া মাদরাসার সব শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন থেকেই এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। কুচক্রী মহলের এ উদ্যোগকে সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়া ঢাকাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র মনে করছি। আমরা এ উদ্যোগের নিন্দা জানাচ্ছি। ষড়যন্ত্রকারীদেরকে তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করার জন্য প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, ইতোমধ্যে মাদরাসা ছাত্রাবাস থেকে ছাত্রদের জোরপূর্বক বের করে দেয়া হয়, পরবর্তীতে ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে কর্তৃপক্ষ হল খুলে দিতে বাধ্য হয়। হোস্টেল সুপার ও সহ-সুপারকে তাদের বাসভবন থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। মাদরাসার একাডেমিক প্রধান হেডমাওলানা প্রফেসর আবদুল মান্নান সাহেব এবং হোস্টেল সুপার মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান সাহেবকে ওএসডি করা হয়েছে। আন্দোলনরত ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। হোস্টেল সুপার এবং হোস্টেল সহসুপারের বাসভবন বিক্রির দরপত্র আহবান করে ইতোমধ্যে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আবদুছ ছবুর মাতব্বকে আহ্বায়ক ও মুনুরুল ইসলাম আকাশকে সদস্য সচিব করে আলিয়া মাদরাসা সুরক্ষা পরিষদ গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আলিয়া মাদরাসার প্রাক্তন ছাত্র সাগর আহমেদ শাহীন, মো. আ ন ম নুরুন্নবী জনি, লতিফুল বারী রাকিব, শাহদাত হোসেন, ফারুক হেসাইন চৌধুরী শাওন প্রমুখ।
Discussion about this post