স্পোর্টস ডেস্ক: সবকিছু ঠিক থাকলে মাঠে এক অনন্য মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারে ফুটবল বিশ্ব। দুই প্রজন্মের দুই প্রতিভাবান ফুটবলার—একজন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসি, আরেকজন সম্ভাবনাময় তরুণ লামিন ইয়ামাল মুখোমুখি হতে পারেন একই ম্যাচে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে চূড়ান্ত হলো ফিনালিসিমার ভেন্যু ও সময়সূচি। আর্জেন্টিনা ও স্পেনের মধ্যকার বহুল প্রতীক্ষিত এই লড়াই অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে। ভেন্যু হিসেবে থাকছে কাতারের রাজধানী দোহার লুসাইল স্টেডিয়াম। যে মাঠে ২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা।স্প্যানিশ দৈনিক মার্কার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের লাতিনদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা এবং ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্ট ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা দল স্পেনের এই লড়াই হবে ২০২৬ সালের ২৮ মার্চ। একই বছরের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পর্দা উঠছে ফুটবল বিশ্বকাপের। তার আগে হাই-ভোল্টেজ এই ম্যাচকে ঘিরে ফুটবল দুনিয়ায় এরই মধ্যে তুমুল উন্মাদনা শুরু হয়েছে। লিওনেল মেসির নেতৃত্বে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ইতোমধ্যে পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে, ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেনও জর্জিয়ার বিপক্ষে সাম্প্রতিক জয় দিয়ে বিশ্বকাপের পথে আরও এক ধাপ এগিয়েছে। দুই দলের ফুটবল সংস্থা এখন ফিনালিসিমার আয়োজন চূড়ান্ত করতে কাজ করছে।গত কয়েক মাস ধরে ম্যাচের সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে আলোচনা হচ্ছিল ওয়েম্বলি (যেখানে ২০২২ সালের সংস্করণে ইতালিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা), সৌদি আরবের রিয়াদ এবং উরুগুয়ের মন্টেভিডিও। তবে স্পেনের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শেষ পর্যন্ত কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামই পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে আয়োজকদের কাছে।২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের আগেই এই ম্যাচকে ধরা হচ্ছে এক বিশেষ মহারণ হিসেবে—দুই মহাদেশের শ্রেষ্ঠদের লড়াই, আর তাতে আবারও দেখা যাবে মেসিদের ‘মাঠে’। এ ছাড়া দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে লিওনেল মেসির যোগ্য উত্তরসূরী মনে করা হচ্ছে বার্সেলোনার স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড লামিনে ইয়ামালকে। দুই তারকাকে একে অপরের প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখতেও আগ্রহের কমতি নেই ফুটবলভক্তদের মাঝে। সেই সুযোগ করে দিয়েছে মহাদেশীয় (কোপা ও ইউরো) দুই শিরোপা। ফিনালিসিমা মূলত চালু করা হয় ১৯৮৫ ও ১৯৯৩ সালে হওয়া আর্তেমিও ফ্রাঞ্চি কাপের পরিবর্তে। শেষবার এই ট্রফি জিতেছিলেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা। এরপর ফিনালিসিমার প্রথম সংস্করণেও শিরোপা ধরে রাখে আর্জেন্টিনা। কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের দীর্ঘ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার আক্ষেপ ঘোচানোর আগেই ওই বছরের জুনে ইতালিকে ৩-০ গোলে ফিনালিসিমায় হারায় লিওনেল মেসি ও লিওনেল স্কালোনির দল। ফিনালিসিমার আসন্ন সংস্করণের ম্যাচ নিয়ে আলোচনা শুরু হয় গত মে মাসে হওয়া ফিফা ও উয়েফার ৭৫তম কংগ্রেসে।
Discussion about this post