আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কারফিউ জারি সত্ত্বেও কাঠমান্ডুর নিউ বানেশ্বরসহ বিভিন্ন এলাকায় তরুণরা আজও সকাল থেকে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। গত সোমবারের দমন-পীড়নের ঘটনায় হতাহতের প্রতিবাদ জানাতেই তারা রাস্তায় নেমেছেন।সোমবারের বিক্ষোভে পুলিশি শক্তি প্রয়োগে অন্তত ১৭ জন কাঠমান্ডুতে এবং দুজন ইটাহারিতে প্রাণ হারান। আহত হন ৪০০-রও বেশি বিক্ষোভকারী। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার রাজধানীসহ আশপাশের জেলায় কারফিউ ঘোষণা করে। কিন্তু তরুণরা জানান, আন্দোলন থামানো যাবে না, বরং নতুন নতুন এলাকায় সংগঠিত হচ্ছেন তারা।ঘটনার পর সমালোচনার মুখে ওলির সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট জানায়, মঙ্গলবার ভোর থেকেই কলঙ্কি, চাপাগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদ চলছে। ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবনের সামনে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন অফিস সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রিং রোডে কারফিউ ঘোষণা করেছে। এতে বালকুমারী সেতু, কোটেশ্বর, সিনামঙ্গল, গৌশালা, চাবাহিল, নারায়ণ গোপাল চক, গঙ্গাবু, বালাজু, স্বয়ম্ভু, কলঙ্কি, বলখু এবং বাগমতী সেতুসহ বিভিন্ন এলাকা অন্তর্ভুক্ত।ললিতপুরে সকাল ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এবং ভক্তপুরে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন আইনের ৬(৩) ধারায় এসব এলাকায় চলাচল ও সমাবেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি রয়েছে।তবে নিষেধাজ্ঞা ভেঙে মঙ্গলবার সকালেই নিউ বানেশ্বরে সংসদ ভবনের সামনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জড়ো হয়েছেন তরুণরা। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষও। মধ্যবয়স্ক এক অংশগ্রহণকারী বলেন, “গতকালের ঘটনা সরকারের ব্যর্থতার প্রমাণ। তরুণদের পাশে দাঁড়াতেই আমি এখানে এসেছি।”
Discussion about this post