ঢাকা: চীন সফর শেষে গতরাতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর এবং বাংলাদেশ আর্মি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এতে বলা হয়, সেনাবাহিনী প্রধান সফরকালে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এর স্থল বাহিনীর পরিটিক্যাল কমিশনার জেনারেল চেন হুইসহ উচ্চপদস্থ চীনা সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।গত ২২ আগস্ট সেনাবাহিনী প্রধান পিএলএ-এর সদর দপ্তরে পৌঁছালে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে সেনাবাহিনী প্রধান পিএলএ-এর স্থল বাহিনীর পলিটিক্যাল কমিশনার জেনারেল চেন হুইয়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা, জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের প্রত্যাবর্তনে সহায়তা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও, বাংলাদেশের সামরিক শিল্পের উন্নতিতে চীন কর্তৃক প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের বিষয়টি আলোচনা করা হয়।গত ২৩ আগস্ট সেনাবাহিনী প্রধান চীনের নোরিনকো (NORINCO) গ্রুপের প্রেসিডেন্ট চেন ডিফাংয়ের সেঙ্গ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে প্রচলিত নোরিনকো (NORINCO) গ্রুপ এর বিভিন্ন ধরনের সামরিক সরঞ্জামাদির আপগ্রেডেশন ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ও ওই বৈঠকে আলোচিত হয়। এছাড়াও সেনাবাহিনী প্রধান পিএলএ-এর অ্যাকাডেমি অব আর্মর্ড ফোর্সের বেইজিং ক্যাম্পাসের প্রশিক্ষণ সুবিধাদিসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জামাদি উৎপাদন গবেষণাগার পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মানের ওই একাডেমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন।এছাড়া, সফরকালে সেনাবাহিনী প্রধান বেইজিং ও শিয়াং এ অবস্থিত নোরিনকো (NORINCO) গ্রুপের বিভিন্ন কারখানা ও গবেষণা কেন্দ্র এবং কয়েকটি আধুনিক অস্ত্র ও গোলা বারুদ তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, গত ২০ আগস্ট সেনাবাহিনী প্রধান সরকারি সফরে চীন সফরে যান।
Discussion about this post