ঢাকা: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ব্যুরো অব বিজনেস রিসার্চ গত বৃহস্পতিবার ‘বিদেশে উচ্চতর অধ্যয়ন: অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন পরিচালনা পর্ষদ ও বিবিআরর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ ওয়েবিনারে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, সিডনীর সিনিয়র প্রভাষক ড. মো. মারুফ হোসেন চৌধুরী এবং যুক্তরাজ্যের টেসিড ইউনিভার্সিটির প্রভাষক ড. মো. নাজমুল ইসলাম এ বিষয়ক ভিন্ন দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ড. সেলিম বলেন, করোনা মহামারীতে সারা পৃথিবীতে অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো শিক্ষার ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অধিকতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই বিদেশে পড়াশোনা বর্তমান সময়ে অধিকতর গুরুত্ব পাচ্ছে। এসময় তিনি কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ২০১৯ সালে সারা পৃথিবীতে বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬০ লাখ। ২০০০ সালে এর সংখ্যা ছিল মাত্র ২০ লাখ। এর এক তৃতীয়াংশ যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করেন। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে মোট ৪৪ হাজার ৩৩৮ জন শিক্ষার্থী বিদেশে পড়াশোনার জন্য পাড়ি জমান। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আট হাজার ১১২ জন, যুক্তরাজ্যে দুই হাজার ৬৪৫ জন, অস্ট্রেলিয়াতে ছয় হাজার ১৯১জন, মালয়েশিয়াতে ছয় হাজার ৯০৪ জন, কানাডায় তিন হাজার ৭৩৫ জন এবং জার্মানীতে দুই হাজার ৯২০ জন গমন করেন। ড. সেলিম আরও বলেন, শিক্ষা পদ্ধতি, নির্বাচিত দেশের ভাবমূর্তি, প্রত্যাশিত চাকুরি, ভবিষ্যত কর্মজীবন, পড়াশোনার কৌশল, যাবতীয় সুযোগ সুবিধার বিষয়গুলো বিদেশে অধ্যয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে থাকে। এসময়ে ড. সেলিম আরও বলেন, দেশ-বিদেশে শিক্ষা গ্রহণের সাথে সাথে সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে আত্ম উন্নয়নের অনবরত প্রচেষ্টাই কর্মজীবনে সাফল্য এনে দিবে এবং স্বপ্ন, শিক্ষা ও আত্ম উন্নয়ন অনেক সময় কল্পণাতীত সাফল্যের মূল ধারক ও বাহক। বিবিআর পরিচালক প্রফেসর ড. এম এম সোহরাব উদ্দিন-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ ওয়েবনিয়ারে দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অন্যান্যরা সংযুক্ত ছিলেন। -বিজ্ঞপ্তি
Discussion about this post