আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্ভাব্য সংঘাতে ফিলিপাইন জড়িয়ে পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিপাইন প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। তার এমন মন্তব্যের পর দেশটি ‘আগুন নিয়ে খেলছে’ বলে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন।ভারতে এক রাষ্ট্রীয় সফরে ফার্স্টপোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কোস বলেন, ফিলিপাইন তাইওয়ানের খুব কাছাকাছি এবং সেখানে দেশটির প্রচুর নাগরিক বসবাস করেন। তাই যুদ্ধ বেধে গেলে ফিলিপাইন কোনোভাবেই নিরপেক্ষ থাকতে পারবে না।তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে অনেক ফিলিপাইন নাগরিক থাকায় এটি একটি মানবিক সংকটে পরিণত হবে। আমাদের সেখানে গিয়ে আমাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে হবে।’শুক্রবার (৮ আগস্ট) এ বক্তব্যের কড়া জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ভৌগোলিক নিকটতা ও বিদেশে বসবাসকারী নাগরিকের সংখ্যা কোনো দেশের অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের যৌক্তিক কারণ হতে পারে না।’চীন আরও বলেছে, ‘আমরা ফিলিপাইনকে আহ্বান জানাই—এক-চীন নীতিকে আন্তরিকভাবে মেনে চলতে। এছাড়া চীনের প্রধান স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ করতে।’বিবৃতিতে চীন অভিযোগ করে, ফিলিপাইন প্রেসিডেন্টের এমন বক্তব্য আন্তর্জাতিক আইন ও আসিয়ান সনদের লঙ্ঘন। এছাড়া আঞ্চলিক শান্তি-স্থিতিশীলতা ও ফিলিপিনো জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী।উল্লেখ্য, দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে সম্প্রতি উত্তেজনা বেড়েছে। উভয়পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে আগ্রাসী আচরণ ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। এ অবস্থায় ফিলিপাইন-যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রতি ওয়াশিংটন বারবার তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করে আসছে, যদিও তাইপের সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।চীনের বিবৃতির পর ফিলিপাইনের বেইজিং দূতাবাস এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
Discussion about this post