আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ভারতের হায়দরাবাদে ভাগ্নির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন এক স্বামী। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় ভয়াবহ এ ঘটনা ঘটে। দেশটির সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে। হত্যার শিকার ৩৫ বছর বয়সী ওই নারীর নাম এস. সম্মক্কা। তার স্বামীর নাম এস. শ্রীনু (৫০)। স্বামীর সঙ্গে কিছুদিন ধরে থাকছেন না সম্মক্কা। ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিথিরা। এমনকি ছিলেন শিশুরাও। ঘটনাটি ঘটে শ্রীনুর ভগ্নিপতি রাজেশ্বরীর বাড়িতে, যেখানে রাজেশ্বরীর ১৪ বছর বয়সী কন্যার জন্মদিন পালন করা হচ্ছিল।জানা যায়, চলমান দাম্পত্য কলহের কারণে সম্মক্কা সম্প্রতি শ্রীনুর কাছ থেকে আলাদা হয়ে সূর্যাপেট ছেড়ে আবডুল্লাপুরমেটে এসে থাকছিলেন। তাকেও জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে কেক কাটার কিছুক্ষণ আগে শ্রীনু সেখানে এসে হাজির হন। সে সময় সম্মক্কা মোবাইলে অনুষ্ঠান ধারণ করছিলেন। হঠাৎ করেই শ্রীনু ছুরি বের করে তার গলায় তিনবার আঘাত করে।চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রীনু চিৎকার করে সম্মক্কার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তুলছিলেন। ঘটনাস্থলেই সম্মক্কা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ও মারা যান। আতঙ্কে অনুষ্ঠানের পরিবেশ সম্পূর্ণরূপে ভয়াবহ হয়ে ওঠে।অবডুল্লাপুরমেট থানার ইন্সপেক্টর ভি. আশোক রেড্ডি জানান, রাজেশ্বরী তার মামা শ্রীনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় নতুন দণ্ডবিধির ১০৩(১) ধারায় (খুনের অভিযোগ) মামলা দায়ের হয়েছে।পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, দীর্ঘদিনের দাম্পত্য কলহ এবং শ্রীনুর সন্দেহ ছিল যে, সম্মক্কার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে—এ কারণেই হত্যার মতো সিদ্ধান্তে পৌঁছান তিনি। সম্মক্কা ছিলেন শ্রীনুর দ্বিতীয় স্ত্রী; প্রথম স্ত্রী অসুস্থ এবং উভয় স্ত্রীর সঙ্গেই শ্রীনুর সন্তান রয়েছে।ঘটনার পর শ্রীনু পালিয়ে যান এবং যারা তাকে থামাতে চেয়েছিলেন, তাদের দিকেও ছুরি তাক করেন বলে জানা যায়।তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় হায়াতনগরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।পুলিশ সম্মক্কার মোবাইল ফোন জব্দ করেছে, যাতে এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করা ছিল। তার মরদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য ওসমানিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post