আন্তর্জাতিক ডেস্ক:বিদেশি নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বা কূটনীতিকদের মতামত দিতে নিষেধ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তবে যদি স্পষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ কোনো জাতীয় স্বার্থ জড়িত থাকে, তখনই কেবল মতামত দিতে পারবে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।নতুন এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘প্রশাসনের জাতীয় সার্বভৌমত্বকে গুরুত্ব দেওয়ার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, যুক্তরাষ্ট্র কেবল তখনই কোনো নির্বাচনের বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করবে, যখন সেখানে স্পষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতির স্বার্থ বিদ্যমান থাকবে।’এতে আরও বলা হয়েছে, ‘কোনো দেশের নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা, নিরপেক্ষতা বা গণতান্ত্রিক মান নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রথম যে মেমোর উল্লেখ করেছে, তা বরাত দিয়ে ইয়াহু নিউজ আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধরে রাখবে। যখন অন্য দেশগুলো সেসব মূল্যবোধ অনুসরণ করবে, তখন তা উদযাপন করবে। তবে মূল্যবোধের চেয়ে কৌশলগত স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে সম্পর্ক বজায় রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।যদি কোনো দূতাবাস কোনো নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা বা ভুয়া নির্বাচন ইত্যাদির মতো ইস্যুতে নিন্দা জানাতে চায়, তবে এর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমোদন নিতে হবে। এছাড়া এই ধরনের অনুমোদন ‘খুবই বিরল’ হবে বলে জানানো হয়েছে।মেমোয় আরও বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন নিয়ে যেসব বার্তা দেওয়া হবে, তা যেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নে সহায়ক হয়। কোনো মতাদর্শ প্রচারের জন্য নয়।’উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিদেশি নির্বাচনের বিষয়ে কী বলছে, তা বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারকর্মী ও বিরোধী দলগুলো নিবিড়ভাবে অনুসরণ করে। অনেক সময় তা ওই দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা বা বিদেশি সাহায্য নির্ধারণেও প্রভাব ফেলে।
Discussion about this post