নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শাশুড়ি ফাতেমা বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি মেয়ে জামাতা মোঃ রাশেদুল ইসলাম নান্টুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ এর একটি টিম। মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার টিপরদী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি মোঃ রাশেদুল ইসলাম নান্টু সোনারগাঁও থানার পুরান টিপরদী এসিআই গেইট সংলগ্ন কাজীবাড়ির মৃত কাজী আব্দুল কাশেমের ছেলে। নিহত ফাতেমা বেগম বন্দর উপজেলার দশদোনা গ্রামের আব্দুল করিমের স্ত্রী। বুধবার র্যাব জানায়, ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে ফাতেমা বেগমের মেয়ে জামাই ঘাতক মোঃ রাশেদুল ইসলাম নান্টু তাকে ব্যাংকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়। বিকাল ৫টার দিকে পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে মোঃ রাশেদুল ইসলাম নান্টু জানান, সে তার শাশুড়ি ফাতেমা বেগমকে ৩৩ হাজার টাকাসহ বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু রাত ৮টা পর্যন্ত তিনি বাড়িতে না ফেরায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নেওয়ার পরে বন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরের দিন ২২ সেপ্টেম্বর সকালে সোনারগাঁও থানার বস্তুল গ্রামস্থ বস্তুল টু গাউসিয়াগামী পাকা রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বের ঢালে ফাতেমা বেগমের মরদেহ পাওয়া যায়। এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, গত ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩ টা থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮ টার মধ্যে যেকোন সময় ফাতেমা বেগমকে তার মেয়ের জামাই ঘাতক মোঃ রাশেদুল ইসলাম নান্টু শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। নিহত ফাতেমা বেগম বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানের নান্টুর ঋণের জামিনদার ছিলেন। ঋণের টাকা মওকুফের উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে জানা যায়। পরবর্তীতে সোনারগাঁও থানার পুলিশ নিহত ফাতেমা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এরই প্রেক্ষিতে নিহতের ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামি মোঃ রাশেদুল ইসলাম নান্টুকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম এর জন্য সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Discussion about this post