ঢাকা: গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ ধরনের ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র শুধু বাংলাদেশেই নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও ব্যাপক আগ্রহের বিষয়। তিনি প্রতিবেদনটি ওয়েবসাইট ও বই আকারে প্রকাশের নির্দেশনা দিয়েছেন। “প্রতিবেদনটি ঘিরে শুধু বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিকভাবেও আগ্রহ রয়েছে,” বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “কি ভয়াবহ একেকটি ঘটনা! আমাদের সমাজের ‘ভদ্রলোকেরা’, আমাদেরই আত্মীয়-পরিজনরা এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আপনারা যা কিছু পেয়েছেন তার ভিত্তিতে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত। গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। এই ধরনের বন্দিশালা কেমন হয়, তিন ফিট বাই তিন ফিট খুপড়ির মধ্যে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আটকে থাকার যে নির্মমতা, নিষ্ঠুরতার চিত্র মানুষের কাছে তুলে ধরা উচিত।” প্রধান উপদেষ্টা কমিশনের সদস্যদের বলেন, রিপোর্টে যেসব করণীয় সুপারিশ রয়েছে, সেগুলো কোন কোন মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত, তা চিহ্নিত করে দিতে হবে। যেন সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে। তিনি বলেন, “আপনারা ভয়-ভীতি, নানা রকম হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের মানুষের জন্য আপনারা অনুপ্রেরণা। ভবিষ্যতে যারা মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়াবে, আপনারা তাদের জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবেন।” গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবার যেন অন্তত ব্যাংকে লেনদেন করতে পারে, সে বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রধান উপদেষ্টা কমিশনকে পরামর্শ দেন। এছাড়া সাত বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছর নিখোঁজ থাকলে ‘আইনি মৃত্যু’র প্রস্তাব আইন সংশোধনের মাধ্যমে বিবেচনায় নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
Discussion about this post