ঢাকা: বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে নিয়োগের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগর ভবনের সব গেটে তালা লাগিয়ে দেন তারা, ফলে কার্যত অচল হয়ে পড়ে করপোরেশনের কার্যক্রম। দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (এলজিআরডি) কর্মকর্তাসহ ডিএসসিসির বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নগর ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি। নগর ভবনের ১২তলায় অবস্থিত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে গেছে। তালা দেওয়ার খবর পেয়ে নগর ভবনে যাননি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ সেবা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। সকাল থেকেই ‘ঢাকার সাধারণ ভোটারদের আয়োজনে নগর ভবন অবরোধ, আয়োজনে: নগরবাসী’ ব্যানার নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিলসহ নগর ভবনের সামনে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। নগর ভবনের মূল ফটক, আশপাশের রাস্তা এবং প্রবেশপথে অবস্থান নেওয়ার কারণে এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সেবা প্রত্যাশীরা নগর ভবন থেকে ফিরে যাচ্ছেন। অনেক কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকলেও সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে অফিসে প্রবেশ করতে পারছেন না। অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ইশরাকের শপথ নিয়ে নানা টালবাহানা চলছে। আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের পরও জনতার মেয়র ইশরাককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলছে। গত ২৭ মার্চ বিএনপির পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইশরাকের শপথগ্রহণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, ইশরাক হোসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রার্থী ছিলেন। তাকে মেয়র পদে পুনর্বহালের দাবিতে চলমান এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছে বিএনপি-সমর্থিত একদল নাগরিক ও রাজনৈতিক কর্মী। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
Discussion about this post