আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিতে প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। শক্তিশালী মিলিশিয়া নেতা আবদেল ঘানি আল-কিকলি ওরফে “গেনিওয়া” নিহত হওয়ার পর এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৯টার দিকে ত্রিপলির দক্ষিণাঞ্চলে প্রচণ্ড গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাগরিকদের ঘরে অবস্থান করতে এবং অপ্রয়োজনে বাইরে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় ত্রিপলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসও সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়েছে। দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সাম্প্রতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে ত্রিপলিতে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশি নাগরিককে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করার অনুরোধ করা যাচ্ছে।” এছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দিয়েছে দূতাবাস। আল-কিকলি ছিলেন ‘স্ট্যাবিলিটি সাপোর্ট অথরিটি’ নামের একটি শক্তিশালী মিলিশিয়া সংগঠনের প্রধান। সম্প্রতি তার সঙ্গে মিসরাতা-ভিত্তিক প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর দ্বন্দ্ব চলছিল। তার মৃত্যুর খবরে রাজধানীর একাধিক এলাকায় গোষ্ঠীগত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানায় স্থানীয় সূত্র। আহতদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জাতিসংঘের লিবিয়া সহায়তা মিশন (UNSMIL) এক বিবৃতিতে বলেছে, “ত্রিপলিতে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভারী অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ চলছে, যা গভীর উদ্বেগজনক। সব পক্ষকে অবিলম্বে লড়াই বন্ধ করে শান্তি ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানানো হচ্ছে।” ২০১১ সালে মোয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে লিবিয়ায় বহু সশস্ত্র গোষ্ঠী রাজধানী ও আশপাশের এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত। সাম্প্রতিক এই সহিংসতায় দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
Discussion about this post