আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে স্বামী ও পরিবারের সদস্যদের ফেলে নিজের মেয়ের শ্বশুরের সঙ্গেই পালিয়ে গিয়েছেন এক নারী। তার চারটি সন্তান আছে। ওই নারীর নাম মমতা। এ ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের বাদাউনে। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় স্ত্রীর হাতে খুন হচ্ছেন স্বামীরা। প্রেমিকের সাহায্য নিয়ে ওই মহিলারা স্বামীকে খুন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এমন অভিযোগের মধ্যে দিন কয়েক আগেই হবু জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের আলিগড় এলাকার এক নারী। মেয়ের বিয়ের মাত্র ৯ দিন আগে বাড়ি থেকে টাকা এবং সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন ওই নারী। পরে তাদের বিহার এবং নেপালের সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার রেশ কাটার আগেই স্বামী এবং পরিবারের সদস্যদের ফেলে রেখে এক নারীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশেই। দেশটির পুলিশ জানায়, মমতা নামের ওই নারী তার মেয়ের শ্বশুর শৈলেন্দ্র ওরফে বিল্লুর সঙ্গে পালিয়েছেন। মমতার স্বামী সুনীল কুমারের অভিযোগ, তিনি মাসে দুবার বাড়িতে আসেন। তার অবর্তমানে মমতা ডেকে নিতেন শৈলেন্দ্রকে। মমতার এক ছেলের অভিযোগ, শৈলেন্দ্র বাড়িতে এলেই তার মা তাকে অন্য ঘরে যেতে বলতেন। স্থানীয়রা জানায়, ৪৩ বছর বয়সী মমতার চার সন্তান আছে। ২০২২ সালে তার এক মেয়ের বিয়ে হয়। মেয়ের শ্বশুর, ৪৬ বছর বয়সি শৈলেন্দ্রর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা যাতে কোনও বাধা দিতে না পারেন সেই কারণেই তাঁরা দু’জনেই পালিয়েছেন। জানা গেছে, সুনীল কুমার ট্রাক চালক। তার দাবি, মাসে দু’দিন বাড়িতে এলেও তিনি পরিবারকে নিয়মিত টাকা পাঠাতেন। তার অবর্তমানে শৈলেন্দ্রর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন মমতা। তিনি যখন বাড়িতে থাকতেন না তখন শৈলেন্দ্রকে ডেকে পাঠাতেন তার স্ত্রী। সুনীল কুমারের অভিযোগ, বাড়িতে থাকা টাকা এবং গয়না নিয়ে শৈলেন্দ্রর সঙ্গে পালিয়েছেন তার স্ত্রী। এলাকার লোকজনের দাবি, যেহেতু শৈলেন্দ্র সুনীলদের আত্মীয় তাই নিয়মিত সেই বাড়িতে এলেও তারা কিছু সন্দেহ করেননি। এ নিয়ে স্থানীয় থানায় শৈলেন্দ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন সুনীল। দাতাগঞ্জ এলাকার পুলিশ আধিকারিক কে কে তেওয়ারি জানিয়েছেন, এই নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরে তদন্ত শুরু হয়েছে।
Discussion about this post