গাইবান্ধা প্রতিনিধি: শীতকালেও তিস্তায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে যেন দিশাহারা হয়ে পড়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষ। তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ ফসলি জমি। উপজেলার হরিপুর, চন্ডিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নের উজানের বিভিন্ন চরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। একদিকে কনকনে ঠান্ডা, অন্যদিকে করোনার থাবা এরপর তিস্তার ভাঙনে কাহিল চরবাসি। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফুল মিয়া জানান, গত ৩ বছর ধরে সারা বছরেই নদী ভাঙছে। যা এর আগে কখনো হয়নি। বিশেষ করে উপজেলার চরচরিতাবাড়ি, চর মাদারীপাড়া, মাদারী পাড়া, কাশিমবাজার, লালচামার, কেরানির চর, ফকিরের চর, কালাইসোতার চর এলাকায় তীব্র আকার ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ১০ দিনের ব্যবধানে তিস্তা সেতু পয়েন্ট উজান বোচাগাড়ি এলাকায় ১৫টি পরিবারের বসতভিটা, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে শতাধিক বসতবাড়ি। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, বেশ কয়েকটি চরে নদী ভাঙন এখনও চলছে। আধা-পাকা ফসল এবং তরিতরকারির আবাদসহ নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তরায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, পানি কমে যাওয়ায় উজানে কিছু এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
Discussion about this post