ঢাকা: উন্নত চিকিৎসার জন্য শিগগিরই যুক্তরাজ্যে নেওয়া হবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। তার বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি এরইমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ। জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার জন্য লন্ডনের কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করা হয়েছে। এছাড়া তাকে লন্ডনে নেওয়ার জন্য ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ ভাড়া করার জন্য কাজও শুরু করেছে দলটি। চিকিৎসকরা জানান, খালেদা জিয়াকে যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিদেশে নেওয়া হবে, সেখানে সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা থাকতে হবে। বর্তমান শর্ট ডিসটেন্সে চার ঘণ্টা যাওয়ার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে; যা সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডে রোগী নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু লন্ডন যেতে ১৪ ঘন্টার লং ডিসটেন্স এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পৃথিবীর কয়েকটি দেশে রয়েছে এবং সেসব দেশের সঙ্গে চিকিৎসকরা আলোচনাও করেছেন। এ বিষয়ে এ জেড এম জাহিদ বলেন, ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে প্রথমে লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডন যাওয়া হবে। এরপর সেখানে থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারিমেডিকেল সেন্টারে নেয়া হবে।’ বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। ম্যাডাম গুলশানের বাসায় আগের মতোই মেডিকেল বোর্ডের সার্বক্ষনিক তত্ত্বাবধায়নে আছেন। বলতে পারেন ওনার অবস্থা স্থিতিশীল।’ ৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে আইসিইউতে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাকে দীর্ঘ সময়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। বর্তমানে এভার কেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। এই টিমে দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াও লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী কার্ডিওলস্টি ডা. জোবাইদা রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন চিকিৎসকও রয়েছেন। উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। পরদিন ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুর্নীতির দুই মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে তিনি দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন।
Discussion about this post