নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টা। ঘটনাস্থল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাসদাইর পাকাপুল এলাকা। পথ ধরে বাসায় ফিরছিলেন পোশাক শ্রমিক আমান উল্লাহ আমান। হঠাৎ কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে পথরোধ করেন তার। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছুরি মেরে কোপাতে থাকেন আমানকে। প্রাণ বাঁচাতে পোশাক কারখানার ওই শ্রমিক চিৎকার দিলেও অনেক রাত হওয়ায় এগিয়ে আসেনি কেউ। কোপানোর পর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে গেলে আশপাশের লোকজন এসে সড়কে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাকে। দ্রুত উদ্ধারের পর স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি তাকে। রাতের না ফেরার দেশে চলে যান ঠাকুরগাঁও জেলার এই বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত আমান উল্লাহর বাবার নাম জৈবন নেসার। মাসদাইর পাকাপুল এলাকায় আব্দুল আউয়ালের বাড়িতে ভাড়া থেকে ওই এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। স্থানীয়রা জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় আমানকে পড়ে থাকতে দেখে কয়েকজন তাকে দ্রুত একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যায়। সেখানে থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, হাসপাতালে আনার পরই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রকিবুজ্জামান জানান, ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।























































Discussion about this post