ঢাকা: অর্থ পাচারের মামলায় তারেক রহমানকে খালাস দেওয়া বিচারক মোতাহার হোসেনকে দুদকের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মানি লন্ডারিং আইনে এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইব্রাহীম। মামলায় উল্লেখ করা হয়, তারেক রহমান ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পথে মোট ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা অবৈধভাবে সিঙ্গাপুরে পাচার করেছেন। তার এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে, ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। কিন্তু ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর এই মামলার রায়ে তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন বিচারক মোতাহার হোসেন। আর মামুনকে দেন অর্থদণ্ডসহ সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। সে সময় তিনি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই বছরের ডিসেম্বরেই তিনি অবসরে যান। এরপর ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি গোপনে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান মোতাহার হোসেন। মোতাহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একজন বিশেষ জজ হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে অঢেল সম্পত্তির মালিক হন। এছাড়া তার বিরুদ্ধেও বিদেশে অর্থপাচার, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও ঘুষ নিয়ে আসামিদের খালাস দেওয়ার অভিযোগ ছিল। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন ও তা ভোগ দখলে রেখে দুদক আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৩ সালে মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক। এবং অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। এই অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে দুদক মোতাহার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে, কিন্তু তিনি হাজির হননি। তার বিরুদ্ধে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাও জারি করে দুদক। তবে ওই নিষেধাজ্ঞা জারির আগেই তিনি গোপনে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান।
Discussion about this post