ঢাকা: ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারে পতনের পর ডিবি পুলিশের রিমান্ডে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন গ্রেফতার রথী-মহারথীরা।প্রশ্নবাণে জর্জরিত হচ্ছেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান। তাদের মধ্যে সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে প্রশ্ন করা হয়, ‘আপনারা কেন টাকার বিনিময়ে পুলিশ নিয়োগ দিলেন? জবাবে বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে পুলিশে নিয়োগের বিষয়টি আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম।’ তখন টুকুকে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়, ‘আপনি যখন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তখন অপনার ভাই এবং আপনার ছেলে সরাসরি টাকা নিয়েছেন। অন্য একজন ব্যক্তির কাছ থেকে আপনি নিজে সরাসরি টাকা নিয়েছেন।’ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি সব সময় আল্লাহর কাছে চেয়েছি, আমি যেন সংসদে যেতে পারি। আমার বয়স যখন ২৫ বছর তখন থেকেই এটা চাচ্ছিলাম। কিন্তু ৬০ বছর বয়সে আল্লাহ কবুল করেছেন। আমি মন্ত্রিত্ব চাইনি। জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামীকে হারানোর কারণে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা নিজেই আমাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার করেন। প্রথমে আমাকে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এর ৬ মাস পর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হলে আমি ওই দায়িত্ব নিতে চাইনি। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বাংলার ছাত্রী হয়ে পুরো দেশ চালাচ্ছি। আর তুমি ম্যানেজমেন্টের ছাত্র হয়ে একটি মন্ত্রণালয় চালাতে পারবে না? তুমি দায়িত্ব নাও। সমস্যা হলে আমাকে বলবে। আমি সব সমস্যার সমাধান দেব।
Discussion about this post