স্পোর্টস ডেস্ক: আফ্রিকান নেশন্স কাপের খেলায় নির্ধারিত নব্বই মিনিটে আইভরি কোস্ট ও মিসরে খেলা ড্র হয়। ম্যাচ গড়াল পেনাল্টি শুটআউটে। সেখানে ৫-৪ ব্যবধানে আফ্রিকান নেশন্স কাপের শেষ ষোলর লড়াইটা জিতে মিসর পাড়ি জমিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে। পুরো টুর্নামেন্ট ধরেই মিসর খেলছে বেশ রক্ষণাত্মক ফুটবল। তাতে ভক্ত-সমর্থকদের গঞ্জনাও কম সইতে হচ্ছে না, একজন সালাহ আক্রমণভাগে থাকতে কেন দল খেলবে রক্ষণাত্মক ফুটবল? তবে দলের আক্রমণভাগ নিষ্ফলা সব ফিনিশে কোচ কুইরোজের কৌশলকে যেন যৌক্তিক প্রমাণ করছে প্রতি ম্যাচেই। নিজেরা সুযোগ তৈরি না করে প্রতিপক্ষের ভুলের অপেক্ষা করার কৌশলে যে কয়টা সুযোগ বুধবার রাতে এসেছে, তার সবকটাই যে হয়েছে লক্ষ্যভ্রষ্ট! জবাবে আইভোরিয়ানরাও অবশ্য তেমন কিছুই দেখিয়েছে ম্যাচে, দলটি গোলের কাছে গিয়েছিল ডিফেন্ডার এরিক বাইয়ির শটে, সেটাও অবশ্য ক্রসবারে প্রতিহত হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা খানিকটা বাড়তি তীব্রতা নিয়ে হলেও সময়ের সাথে সাথে মিলিয়ে গেছে সেটাও। তাই মিসর কোচ কুইরোজ বাধ্য হয়েই ছক বদলে ৪-২-৩-১ এ দল সাজাতে বাধ্য হন, যেন আর যাই হোক, গোল হজম করে না বসে দল। সে কৌশলে অবশ্য সফলই হয়েছেন তিনি। ম্যাচটা গড়িয়েছে টাইব্রেকারে। মোহামেদ সালাহর মতো একজন পেনাল্টি টেকার যখন আপনার দলে থাকবেন, অন্তত একটা পেনাল্টির চিন্তা থেকে মুক্ত আপনি, যা টাইব্রেকারে আপনাকে দেবে একটু বাড়তি স্বস্তি। শুটআউট পর্বে এর আগে বাইয়ির শট ক্রসবারে প্রতিহত হলে সালাহদের সামনে সুযোগ চলে আসে ম্যাচটা জেতার। পাঁচ নম্বর পেনাল্টি নিতে আসা সালাহ হতাশ করেননি দলকে। মহাগুরুত্বপূর্ণ পেনাল্টিটা ঠাণ্ডা মাথায় জড়ান জালে, তাতেই পুরো টুর্নামেন্টে নির্ধারিত সময়ে দুটো মাত্র গোল করা মিসর পৌঁছে যায় প্রতিযোগিতার শেষ আটে।
Discussion about this post