আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রেডিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনিই দেশটির প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসির স্থলাভিষিক্ত হবেন। রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যম আরটির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চিকিৎসক হতে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া মাসুদ পেজেশকিয়ান রক্ষণশীল প্রতিপক্ষ সাঈদ জালিলিকে প্রায় ৩০ লাখ ভোটে হারিয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, পেজেশকিয়ান ১ কোটি ৬৪ লাখ ভোট পেয়েছেন। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী জালিলি পেয়েছেন ১ কোটি ৩৫ লাখ ভোট। ইরানের নির্বাচনি সদর দফতরের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম শনিবার সকালে জানিয়েছে, পেজেশকিয়ান আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। গত মে মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পর এই নির্বাচনের ডাক দেওয়া হয়। মাসুদ পেজেশকিয়ান সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত। তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সাবেক সংস্কারবাদী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ খাতামির সরকারে এ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ইরানের পার্লামেন্টে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের শহর তাবরিজে ২০০৮ সাল থেকে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন তিনি। ১৯৫৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া সাবেক এ স্বাস্থ্যমন্ত্রী একজন স্বনামধন্য হার্ট সার্জন। তিনি তাবরিজ ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সাইন্সের সাবেক প্রধান ছিলেন। এটি ইরানের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম প্রধান মেডিকেল প্রতিষ্ঠান। পেজেশকিয়ান এর আগে ২০১৩ ও ২০২১ সালেও তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে ২০১৩ সালে তিনি হাসেমি রাফসানজানিকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন এবং ২০২১ সালে গার্ডিয়ান কাউন্সিল তার প্রার্থিতা বাতিল করে। ইরানের ক্ষমতা বেশ কয়েক বছর ধরে রক্ষণশীলদের হাতে রয়েছে। তবে পেজেশকিয়ান মনোনয়ন পাওয়ায় সংস্কারপন্থিরা আশার আলো দেখছেন। নির্বাচনেও তার ফলাফলি প্রতিফলিত হয়েছে। ইরানের সর্বশেষ সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ খাতামি পেজেশকিয়ানের প্রশংসা করেছেন। তিনি তাকে সৎ, ন্যায়পরায়ণ ও যত্নশীল মানুষ বলে উল্লেখ করেন।
Discussion about this post