ঢাকা: রাজধানীর উত্তরা-মতিঝিল রুটে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট নির্ধারণ ও আদায় প্রক্রিয়ার জন্য একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১ মাসের মধ্যে এই কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে মেট্রোরেলের ভ্যাট আরোপের বিষয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়। মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট আরোপ নিয়ে বৃহস্পতিবার এনবিআর’র সঙ্গে বৈঠক করে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ এবং ডিএমটিসিএল’র কর্মকর্তারা। বৈঠকে ডিএমটিসিএল ও এনবিআর’র কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এই কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে সড়ক ও মহাসড়কের বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী জনকণ্ঠকে বলেন, ‘মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর কত শতাংশ কর আরোপ করা হবে বা হবে না। কর আরোপিতা হলে কোন প্রক্রিয়ায় তা আদায় করা হবে। তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে। পরে সবার মতামতের ভিত্তিতে একটি কারিগরি কমিটি গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই কমিটি আগামী ১ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবে।’ এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর আবার বৈঠক করা হবে বলে জানান তিনি। জানা গেছে, মট্রোরেলের টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপ করে গত ৪ এপ্রিল এক আদেশ জারি করে এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ। এ নিয়ে মেট্রো পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডকে (ডিএমটিসিএল) চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠির বিপরীতে ভ্যাট মওকুফ চেয়ে পাল্টা চিঠি দিয়েছে ডিএমটিসিএল। এই বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মেট্রো রেলের ভাড়া বাড়ছে না ডিএমটিসিএল’র কর্মকর্তারা জানান। যদি শেষ পর্যন্ত ভ্যাট ১৫ শতাংশ থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবে ১০০ টাকার ভাড়া ১১৫ টাকা হয়ে যাবে। একই ভাবে দূরত্ব ভেদে পুরো ভাড়ার তালিকা সমন্বয় করতে হবে। কিন্তু ভাড়া বাড়াতে চাইছে না মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এ জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়লেও ভাড়া বাড়ানো হয়নি। তাই মেট্রোর ওপর ভ্যাট একেবারে মওকুফ না হলেও কমানোর চেষ্টা চলছে। আর শেষ পর্যন্ত ভ্যাটের পরিমাণ কেমন হবে, সেই ভ্যাটের কতটুকুর ভার যাত্রীকে বইতে হবে; এসব বিষয়গুলো এখনও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি বলে ডিএমটিসিএল’র কর্মকর্তারা জানান।
Discussion about this post