ঢাকা: সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পিতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা করার নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করা হয়েছে। আর এ রিটে বাদী হয়েছেন ছয় মাস বয়সী এক শিশু এবং তার মা। তবে শিশুর পক্ষে আইনগত অভিভাবক হিসেবে হলফনামা করেছেন তার বাবা। বুধবার (৩ জুলাই) এ রিট করা হয় বলে জানান ওই শিশুর মা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান। রিট আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, আইন সচিব, সংসদবিষয়ক সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব,স্বাস্থ্য সচিব, শ্রম সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। রিটে বলা হয়, নবজাতকের যত্নে কেবল মায়ের ভূমিকা মুখ্য— এ ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। বাবার ভূমিকাও দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাহায্য নেওয়ার সুযোগ সীমিত। এ ছাড়া সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার বাংলাদেশে অনেক বেশি। সিজারের পর সুস্থ হতে মায়ের সময় লাগে। এ সময়ে নবজাতক ও মায়ের নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। পিতৃত্বকালীন ছুটির সুযোগ না থাকায় যারা নতুন বাবা হন, তাদের স্ত্রী ও নবজাতকের দেখাশোনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়। বিশ্বের ৭৮টিরও বেশি দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান রয়েছে। ২০১৯ সালে ওই শিশুর বড় ভাই নয় মাস বয়সে কর্মক্ষেত্র, শপিংমল, বিমানবন্দর, বাস স্টেশন, রেলওয়ে স্টেশনসহ জনসমাগমস্থওলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারস্থাপনের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছিল। ওই রুলের শুনানি শেষে গত বছরের ২ এপ্রিল হাইকোর্ট রায় দেন।
Discussion about this post