স্পোর্টস রিপোর্ট: ম্যাচের বয়স তখন ৩০ মিনিট, কোস্টারিকার বক্সের ভেতরে রাফিনিয়া বল বাড়ান রদ্রিগোর দিকে। সেই বলটি তিনি না ধরতে পারলেও মার্কুইনহোস নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ দক্ষতায় বল জালে জড়িয়ে উদযাপনে মাতেন। তবে সেই উদযাপন মিলিয়ে যায় রেফারির ভিএআর চেকের সিদ্ধান্তে। কোস্টারিকা বেঁচে যায় গোল হজম করা থেকে। মনোবলে একটা ধাক্কা খায় ব্রাজিল। সেই ধাক্কা ম্যাচের বাকি সময়েও কাঠিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। শেষ পর্যন্ত বহুবার চেষ্টা চালিয়েও আর গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল। গোল শূন্য ড্রয়ে ব্রাজিলকে রুখে দেয় কোস্টারিকা। কোপার মিশনের শুরুতেই হোঁচট খেতে হয় ব্রাজিলকে। অথচ, এদিন ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বল দখল কিংবা আক্রমণে আধিপত্য বিস্তার করেছে ব্রাজিল। পুরো ম্যাচে ৭৪ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশ্যে মোট ১৯ টি শট নিয়েছে ব্রাজিল। অবশ্য এরমধ্যে লক্ষ্যে ছিল কেবল ৩টি শট। অন্যদিকে মাত্র ২ টি শট নিতে পেরেছে কোস্টারিকা। যাতেই বুঝা যায় ম্যাচে কতটা আক্রমণ চালিয়েছে ব্রাজিল। তবে দিনশেষে ফুটবল গোলের খেলা। সেই গোলটিই যে করতে পারেনি দরিভাল জুনিয়রের দল। এ দিন ম্যাচে প্রথমার্ধেই বেশ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করে ব্রাজিল। ভিএআরে প্রথম গোলটি বাতিল হওয়ার পর ৪০ মিনিটে রাফিনিয়ার শট ঠেকিয়ে দেন কোস্টারিকার গোলরক্ষক সেকুইরা। এরপর আরও কয়েকটি আক্রমণ শানালেও গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল। গোল শূন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণ শানিয়েছে ব্রাজিল। একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা করে রেখেছে কোস্টারিকার রক্ষণকে। কোস্টারিকাও নিজেদের রক্ষণে জমাট বেঁধে ব্রাজিলকে আটকে দিয়েছে শেষ পর্যন্ত। ব্রাজিলের বেশ কিছু আক্রমণ দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়ে মাঝে মধ্যে আক্রমণে উঠে ব্রাজিলের রক্ষণের পরীক্ষাও নিয়েছে তারা। তবে সেই পরীক্ষায় ব্রাজিলের ডিফেন্স পাস করে গেলেও ফেল করেছে ব্রাজিলের আক্রমণভাগ। ম্যাচের বাকি সময় গোলের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালালেও শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায়নি তারা। ব্রাজিলকে রুখে দিয়ে পয়েন্টে ভাগ বসিয়েছে কোস্টারিকা। গ্রুপের আরেক ম্যাচে প্যারাগুয়েকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে কলম্বিয়া। এ গ্রুপে ব্রাজিলের পরের ম্যাচ আগামী ২৯ জুন। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে। কোপার পরবর্তী রাউন্ডে যেতে যেখানে জয়ের বিকল্প নেই ব্রাজিলের।
Discussion about this post