আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ড্যানিশ প্রধানমন্ত্রী মেত্তে ফ্রেডেরিকসেন সম্প্রতি হামলার শিকার হন। ওই হামলার পর তিনি জানান, এই ঘটনায় তিনি বেশ কষ্ট পেয়েছেন এবং ভেঙে পড়েছেন। তবে তার শারীরিক অবস্থা এখন ভালো আছে বলেও নিশ্চিত করেছেন মেত্তে ফ্রেডেরিকসেন। কোপেনহেগেনের পুরোনো শহরের একটি রাস্তায় শুক্রবার সন্ধ্যায় তার ওপর হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি পোল্যান্ডের নাগরিক। স্থানীয় সময় শনিবার ফ্রেডেরিক্সবার্গ আদালতে তাকে প্রাথমিক শুনানিতে হাজির করা হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তিনি তার দোষ অস্বীকার করেছেন। কোপেনহেগেন পুলিশ সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেন, সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে ২৯ জুন পর্যন্ত হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিকসেনের কার্যালয় বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, ওই হামলার ঘটনার পর তাকে প্রাথমিক চেক-আপের জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। রোববার তার সব ধরনের কর্মসূচী বাতিল করা হয়েছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, কোপেনহেগেনের রাস্তায় হামলার ঘটনায় বেশ মর্মাহত হয়েছেন তিনি। শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি চত্বরে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় কোপেনহেগেনের কুলটোরভেটে এক ব্যক্তি তার ওপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনায় হতবাক হয়ে যান। তবে কী কারণে ওই ব্যক্তি এমন ঘটনা ঘটালেন তা এখনো নিশ্চিত নয়। ওই ঘটনার পর মেরি আদ্রিয়ান এবং আন্না রাভন নামের দুজন প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বিটি পত্রিকাকে বলেন, তারা ওই হামলার ঘটনার সাক্ষী। তারা বলেন, এক ব্যক্তি বিপরীত দিক থেকে এসে প্রধানমন্ত্রী মেত্তে ফ্রেডেরিকসেনের কাঁধে জোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি পড়ে যান। তারা জানান, প্রধানমন্ত্রী মেত্তে ফ্রেডেরিকসেনকে খুব জোরে ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার পর তিনি কিছু সময় একটি ক্যাফেতে গিয়ে বসেছিলেন। ২০১৯ সালে ডেনমার্কের ইতিহাসে সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেত্তে ফ্রেডেরিকসেন। এদিকে এমন খারাপ মূহুর্তে যারা ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে সমর্থন ও উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ড্যানিশ প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিকসেন।
Discussion about this post