ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের বেতাই খালকুলা গ্রামে ফাতেমা খাতুন (৪৫) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। গলাকাটা হয়েছে তার পুত্রবধূ বিথী খাতুনেরও (১৮)। তিনি প্রাণে বাঁচলেও গুরুতর আহত অবস্থায় আছেন হাসপাতালে ভর্তি। আজ শুক্রবার (২৪ মে) সকালে ওই গ্রামের মাঠপাড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ফাতেমা খাতুন ওই গ্রামের দুবাই প্রবাসী অবেদ আলীর স্ত্রী ও আহত বিথী খাতুন তার মালয়েশিয়া প্রবাসী মেহেদি হাসানের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানায়, সকালে গলাকাটা অবস্থায় বিথী খাতুন প্রতিবেশীর বাড়িতে উপস্থিত হয়। মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে স্থানীয় বেতাই চন্ডিপুর পুলিশ ক্যাম্পে খবর দিলে তারা এসে ঘরে ফাতেমার গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন জানান, হত্যাকারীরা ওই দুইজনকে মৃত ভেবে বাড়িতে থাকা টাকা নিয়ে চলে যায়। কিন্তু বিথী বেঁচে ছিলো। সে একটি চিরকুট লিখে রেখে যায়। তার সূত্র ধরে আমরা বেতাই দুর্গাপুর গ্রামের মৃত বাদল মন্ডলের ছেলে সাগর মন্ডল ও পশ্চিম ঝিনাইদহ গ্রামের ফেলু সরকারের ছেলে সাগর ওরফে কুটিকে আটক করেছি। হত্যাকারীরা পেশায় রাজমিস্ত্রী। গত কয়েকদিন ধরে ওই বাড়িতে তারা কাজ করছিল। সম্প্রতি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে এনেছিলো এই খবর শোনার পর হত্যার পরিকল্পনা করে হত্যাকারীরা। মরদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তাপস বলেন, আহত বিথীর শারীরিক অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পাঠিয়েছি।
Discussion about this post