স্পোর্টস রিপোর্ট: ইসরাইলকে ফিফা থেকে নিষিদ্ধের দাবিতে ফিলিস্তিনের করা আবেদনে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন- এএফসি। ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হওয়া সংস্থাটির সবশেষ সভায় এমন সমর্থনের পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব এই নিষেধাজ্ঞার বাস্তবায়ন করার অনুরোধ জানান এএফসি সভাপতি শেখ সালমান। যদিও বরাবরের মতো এবারো গাজা ইস্যুতে স্পষ্ট কোনো জবাব দেননি ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। গাজায় গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসনের পেরিয়ে গেছে ২২২ দিন। নিহতের সংখ্যা ৩৫ হাজারের বেশি। শিশু নারী কিংবা যুবক, চলতে থাকা বর্বর হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউ। যদিও প্রকাশ্যে চলতে থাকা এই নারকীয়তায় নিশ্চুপ বিশ্ব নীতিনির্ধারকরা। নীতিনির্ধারকদের ঘুম না ভাঙলেও নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ করে যাচ্ছে ফিলিস্তিন। সে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে গত ১১ মার্চ ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনার প্রস্তাব পাঠানো হয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে। সে প্রস্তাবে এরই মধ্যে সমর্থন জানিয়েছে ইরান, আলজেরিয়া, সিরিয়া কিংবা ইয়েমেনের মতো বেশকিছু দেশ। তবে দেশ ছাপিয়ে এবার এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন নিজেই ইসরাইলকে ফিফা থেকে নিষিদ্ধের প্রস্তাবে সমর্থন জানাল। ব্যাংককে এএফসির গুরুত্বপূর্ণ সভায় প্রকাশ্যে এই সমর্থন জানান সংস্থাটির প্রধান শেখ সালমান। থাইল্যান্ডে ফিফা কংগ্রেসে দ্রুতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আহবান জানান তিনি। শেখ সালমান বলেন, ‘এএফসি যতটা শক্তিশালী, এর প্রতিটা সদস্যও তেমনি শক্তিশালী এবং এদের মধ্যে কেউ একজন ভুক্তভোগী হলে বাকিরাও প্রভাবিত হয়। এএফসি একাত্বতা প্রকাশ করছে ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এবং ফুটবল সংক্রান্ত সমাধান পাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা তাদের সমর্থন করছি। এএফসি ও ফিফার নিয়ম এবং বিধি অনুসারে দ্রুত এবং কার্যকর সমাধানের জন্য ফিলিস্তিনকে সমর্থন করা আমাদের দায়িত্ব।’এদিন এই সভায় উপস্থিত ছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। যদিও ইসরাইলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনা হবে কিনা, সে ব্যাপারে সোজাসাপ্টা কিছু জানাননি। বরং বরাবরের মতো আবারো এই আলোচনা এড়িয়ে গেছেন ইনফান্তিনো। ফিফা সভাপতি বলেন, ‘পৃথিবীর নানান জায়গায় যে হারে মর্মান্তিক পরিস্থিতি ঘটছে তাতে ফুটবলের খুব বেশি ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই। আমরা যা পারি তা হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ থাকা, কারণ ফুটবল আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে। এদিন ইসরাইলের আক্রমণে গাজায় নিহত ও আহতদের প্রতি সম্মান জানাতে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করে এশিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নীতিনির্ধাকরা।
Discussion about this post