নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও বিদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। পুলিশ কেন তাদের হয়রানি করছে তা জিজ্ঞাসা করার জন্য মানবাধিকার সংস্থা, বিদেশি দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেন তৈমূর। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ সিটির ১১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচার শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন এই মেয়র প্রার্থী। তৈমূর আলম বলেন, পুলিশ সুপার বলেছেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। উনার (এসিপি) বক্তব্যের সঙ্গে যদি কাজের মিল থাকতো তাহলে খুশি হতাম। যারা আমার এজেন্ট, আমার জন্য যারা মাঠে ময়দানে কাজ করতেছে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ তল্লাশি করছে। তৈমূর বলেন, সুমন নামের এক তাঁতী দলের নেতা আমাকে ফোন করে জানান, তার বাড়িতে রাতে পুলিশ গেছে। এছাড়াও বুধবার সন্ধ্যায় ১০-১৫ জন পুলিশ আমার বাড়ির পশ্চিম দিকে অবস্থান নিয়েছিল এবং তারা দীর্ঘ সময় ছিল। বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা রয়েছে, যা সবই গায়েবি মামলা উল্লেখ করে তৈমূর আলম বলেন, এই গায়েবি মামলার হয়রানির রেশ এখনো কাটেনি। পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করি দয়া করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না।তৈমূর আলম বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশির নামে যেভাবে হয়রানি করছে পুলিশ এটা বন্ধের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করবো। পাশপাশি আমাদের রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার যিনি মালিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সবিনয় অনুরোধ করছি আমাদের উপর পুলিশি হয়রানি করা হচ্ছে, আপনি দয়া করে এটা বন্ধ করান। নির্বাচন ১৬ তারিখ। এরপর আপনার আইন বা ক্ষমতা যা বলে তা আপনি কার্যকর করবেন। নারায়ণগঞ্জ নগরীর বাসিন্দাদের অনুরোধ করে তৈমূর আলম বলেন, ১৬ তারিখ ভোটের দিন আপনারা দয়া করে ভোট কেন্দ্রে আসবেন। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়ে তৈমূর আলম বলেন, আমার দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশির নামে হয়রানি ও গেপ্তারের মধ্য দিয়েই প্রতিয়মান হয় সরকার তার প্রার্থীর পক্ষ অবলম্বন করছে, যা আমাদের শঙ্কায় ফেলেছে। এখন পর্যন্ত ১৬ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। তৈমূর আলম তার নির্বাচনী সমন্বয়ক রবির গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বলেন, রবিকে ২০১৩ সালের একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাহলে প্রশ্ন উঠে রবি এখন কেন গ্রেপ্তার হলো, এর আগে হলো না কেন। রবি যখনই আমার পাশে এসে দাঁড়ালো, আমার নির্বাচনী দায়িত্ব গ্রহণ করলো তারপর থেকেই গ্রেপ্তার শুরু হলো। স্বতন্ত্র এই মেয়র প্রার্থী বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও বিদেশী দূতাবাসে যারা আছেন তাদেরকে অনুরোধ জানাবো, আপনারা নির্বাচনের দিন উপস্থিত থাকেন। সেই সঙ্গে দেশি ও বিদেশি সংবাদ মাধ্যমকেও নির্বাচনে থাকার জন্য অনুরোধ করছি এবং আপনারা পুলিশকে জিজ্ঞাসা করুন কেন আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। তৈমূর বলেন, জনগণ ভোট দেবে এবং জয় হবে আমাদেরই। তবে আমরা একটু সংকটের মধ্যে রয়েছি।
Discussion about this post