ঢাকা: বস্তায় করে সাগরে মুক্তিপণের টাকা ফেলার মতো ঘটনা কেবল সিনেমাতেই ঘটে, বাস্তবে এমন কিছুর তথ্য সরকারের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার (১৫ এপ্রিল) জিম্মি নাবিকদের মুক্তির ব্যাপারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিপণের কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। বিষয়টি এতো সহজ নয় যে বস্তায় করে সমুদ্রে মুক্তিপণের টাকা ফেলা হবে। সোমালিয়ার সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আন্তর্জাতিক অঙ্গন, জলদস্যু সবার সাথে বহুমাত্রিক যোগাযোগের মাধ্যমে উদ্ধার হয়েছে নাবিকরা। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নাবিকরা এখন মুক্ত। এই নাবিকরা এখন জাহাজে কাজ করবে বা কতদিন করবে সেটা নির্ভর করবে মালিকদের উপর। মালিকরা বলছে নাবিকরা যা চাইবে সেভাবেই হবে। তবে, জাহাজের ২৩ নাবিক চাচ্ছেন দুবাই থেকে ফিরে আসার পর তারা আর জাহাজে কাজ করবেন না৷ পরিবারের কাছে ফিরে আসবেন তারা। জাহাজ আটকের ঘটনা প্রসঙ্গে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ক্রেডিট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। জলদস্যুদের সাথে দ্রুত যোগাযোগ হয়েছে বলে ৩২ দিনে উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। তবে , জাহাজটি অরক্ষিত ছিলো। জাহাজে কোনো নিরাপত্তারক্ষী ছিলো না। ২০২১ সাল পর্যন্ত অস্ত্র ছিলো জাহাজে। এখন থেকে মালিকদের নির্দেশনা দেয়া হবে যাতে জাহাজে অস্ত্র রাখা হয়। এ সময় সমুদ্রপথকে আরও নিরাপদ করার জন্য আইএমওকে প্রস্তাব দেয়ার বিষয়ে নৌবাহিনী কাজ শুরু করেছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। ঈদের দিন সদরঘাটের ঘটনা খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারা এর সাথে জড়িত তাদের নাম অবশ্যই বেরিয়ে আসবে। এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে সরকার। লঞ্চটির মালিক একজন মন্ত্রী কিনা সেটা দেখা হবেনা, ঘটনার সাথে জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
Discussion about this post