সৌমিত্র সুমন,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: কলাপাড়ায় আজগর আলী হাওলাদার গং এর বিরুদ্ধে আবু বক্কর নামের এক ব্যক্তির জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে জমির দখল ফিরে পেতে অসহায় আবু বক্কর ঘুরছেন প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে। এঘটনায় গত ৬ জানুয়ারী আবু বক্কর বাদী হয়ে আমিনুল ইসলাম, আজগর হাওলাদার, জেসমিন বেগম, লিপি বেগম ও আফিফা বেগমের নামে কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের বাদুরতলী গ্রামের ৩৪৬ নং খতিয়ানের ১৯১২ নং দাগের ২.৫৫ একর জমি ২০০৬ সালে আলতাফ উদ্দিনের ওয়ারিশদেও কাছ থেকে ক্রয় করেন আবু বক্কর। প্রায় ২০ বছর যাবৎ আবু বক্কর এ জমি ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু গত ৫ জানুয়ারী ভোরে আজগর আলী ও তার ছেলে আমিনুল সহ ৫/৬ জন মাটি কেটে বাড়ি নির্মানের চেষ্টা করে এবং ওই স্থানে একটি ঘর তোলে। পরে থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ি নির্মানের কাজ বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি মিমাংশা না হওয়ায় গত ১০ জানয়ারী মোকাম কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আজগর ও তার ছেলে আমিনুল সহ ১০ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামীদের দস্যু ও দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির লোক বলে উল্লেখ করেন আবু বক্কর। বাদুরতলী এলাকার লাল মিয়া হাওলাদার জানান, আজগর আলী হাওলাদার এই এলাকার একজন চিহ্নিত ভূমিদস্যু। অন্যের জমি দখল এবং চাদাবজিই তার প্রধান কাজ। এর আগে আমাদের একটি জমি সে ঝামেলা পাকায় এবং ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে আমরা উপায়ন্ত না পেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি। একই এলাকার রুহুল আমিন হাওলাদার জানান, এই এলাকার জমি নিয়ে সব মানুষের দ্বন্ধ আজগর হাওলাদারের সঙ্গে। কারন সে গায়ের জোরে সন্ত্রাসী নিয়া যার তার জমি দখল করে। গত ৫ জানুয়ারী সে ওই জমিতে দখল চেষ্টা চালায় এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এই ভূমি দস্যুও ব্যাপারে আমরা এলাকার সবাই অবগত। আবু বক্কর জানান, কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ আজগর আমার জমি দখলের চেষ্টা চালায়। আমি বাঁধা দিতে গেলে সে আমাকে মারধরের চেষ্টার করে। পরে উপয়ান্ত না পেলে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে সে আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে। আমার আজগর আলী গংদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মদ জানান, আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরই বিষয়টি তদন্ত করেছি। তদন্তের পরই একটি মামলা রুজু হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় শান্তি শৃংখলা স্বাভাবিক রয়েছে। আজগর আলী হাওলাদারের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেন নাই বলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই।
Discussion about this post