ঢাকা: আওয়ামী লীগ কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বসন্তের প্রথম দিনে গণভবনের লনে সারাদেশ থেকে আসা নারী নেত্রীদের ফুলের সঙ্গে তুলনা করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি বলেছেন, সব ফুলই সুন্দর। এত ফুল থেকে মাত্র ৪৮ জনকে বাছাই করে নেয়া কঠিন। কেউ মন খারাপ করবেন না। এবার না হলে আগামীবার হবে। একবার না হলে দেখো শতবার। আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সংরক্ষিত নারী আসনে নিজেদের ও স্বতন্ত্রের সমর্থনে এবার ৪৮ আসনে প্রার্থী দেবে আওয়ামী লীগ। কিন্তু দলীয় মনোননপত্র কিনেছেন ১৫৫৩ জন। সবাইকে যোগ্য দাবি করে এখান থেকে ৪৮ জনকে বেছে নেয়া কঠিন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এত নারী মনোনয়ন কেনায় ভালোই হয়েছে। আওয়ামী লীগ ফান্ডে অনেক টাকা এসেছে। ’ তিনি আরও বলেন, ‘মনোনয়ন না পেলেও নেতৃত্ব দেয়ার আকাঙ্ক্ষা যেন হারিয়ে না যায়। নিজেকেই নিজের জায়গা করে নিতে হবে। ভবিষ্যতে যেন আরও বেশি নারীদের প্রার্থী করতে পারি, সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে। ’ এসময়য় বিএনপি-জামাত দেশ, জাতি ও স্বাধীনতার শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। উন্নয়ন কাজের মধ্য দিয়ে বিএনপির অপকর্মের জবাব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল স্রোতে টেনে তোলার দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতৃত্বের উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারাদেশের নারী নেত্রীদের নিজ নিজ যোগ্যতার ভিত্তিতে সংগঠন করে সরাসরি নির্বাচনে অংশ নেয়ার যোগ্য হয়ে গড়ে উঠতে হবে। বঙ্গবন্ধু নারীর নেতৃত্ব গড়ে তুলতে সংবিধানে সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বেঁচে থাকলে স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে বহুদূর এগিয়ে যেত বাংলাদেশ। তিনি যে আদর্শ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেখান থেকে বিচ্যুত হয়েছিল দেশ। এতো চড়াই উতরাই পেরিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে, সেটা কেউ ভাবতে পারেনি। ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত এখানো চলছে। তবে আমাদের একমাত্র শক্তি, মানুষের সমর্থন। ’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা ছিল বিদেশে, এটা আমাকে কষ্ট দিত। আজ এ দাবি করতে পারি, বাংলাদেশ বিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে চললে যে অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছা যায়, এটা আমরা প্রমাণ করেছি, যোগ করেন সরকার প্রধান। আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘মেয়েদের স্থান সমাজে করে দিয়েছি। সমাজের কোনো স্তর কিন্তু বাদ নেই। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নারী-পুরুষ মিলে কাজ করলেই তো এগিয়ে যাবে দেশ। পিছিয়ে পড়া মানুষদের টেনে তুলতে পারে রাজনৈতিক নেতৃত্ব। মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। ’
Discussion about this post