আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা পাকিস্তানের নির্বাচনের ফলাফল মেনে না নেওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অনুরোধকারীদের মধ্যে রিপাবলিকান পার্টির পাশাপাশি বাইডেনের নিজ দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আইনপ্রণেতারাও রয়েছেন। তাদের দাবি,পাকিস্তানের নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ পুরোপুরি তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এর ফলাফল যেন মেনে না নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনের পরদিন গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছিল, পাকিস্তানের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ বা জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এসব অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ব্র্যাড শেরম্যান বলেছেন,পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো স্বাধীনভাবে ভোটের ফলাফল প্রচার করতে পারা উচিত এবং ফলাফল ঘোষণায় কোনো অযৌক্তিক বিলম্ব উচিত নয়। ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা রাশিদা তালাইব বলেন, আমাদের অবশ্যই পাকিস্তানি জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। কারণ তাদের গণতন্ত্র মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, আমাদের ট্যাক্সের অর্থ এমন কারও কাছে যাবে না, যাতে এর অবমূল্যায়ন হয়। পাকিস্তানে রাজনৈতিক সহিংসতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিধিনিষেধের নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতা ডিনা টিটাস। পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের আইনের শাসন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, একটি কার্যকরী গণতন্ত্রের ভিত্তি হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। একইভাবে, আইনপ্রণেতা ইলহাসন ওমর পাকিস্তানের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের ‘বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন তদন্ত’ না হওয়া পর্যন্ত ফলাফলগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আইনপ্রণেতা গ্রেগ ক্যাসার বলেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মতো আমিও পাকিস্তানের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও জালিয়াতির অভিযোগের তদন্ত দাবি করছি। ফলাফলের স্বীকৃতি দেওয়ার আগে সেখানে বিশ্বাসযোগ্য, স্বাধীন তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে তা নিশ্চিত করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। আমাদের অবশ্যই গণতন্ত্র এবং জনগণের ইচ্ছাকে রক্ষা করতে হবে। পাকিস্তানের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের জন্য বাইডেন প্রশাসন এবং মার্কিন কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তানি আমেরিকান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটিও (পাকপ্যাক)।
Discussion about this post