ঢাকা: মায়ানমার সীমান্তে দেশের মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, মায়ানমার সীমান্তে দেশের মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, সীমান্ত অরক্ষিত। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্তে বাংলাদেশিদের রক্ত ঝড়ছে অভিযোগ করে বলেন, সরকারের নীরবতা বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার বাচালতাপূর্ণ এবং চটুল কথার দ্বারা নিজেদের অপকর্ম ও দখলদারিত্বের পাপ আড়াল করার চেষ্টা করতে গিয়ে আওয়ামী কলঙ্ক আরও তীব্র হয়ে ওঠে। কারণ রাজনীতি নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য যাত্রাপালার সংলাপের ঢংয়ে সস্তা বিনোদনে ভরপুর। তিনি আরও বলেন, এই ভদ্রলোককে দেখলাম, বর্তমান বিনাভোটের সরকার প্রধানের কাছে লেখা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের একটি চিঠি নিয়ে প্রায় হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন। কাদের সাহেব বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, এখন আপনাদের সাহসের উৎস কোথায়? কে সাহায্য করবে? বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এও বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনার এই উল্লাসেই প্রমাণিত হয়-আওয়ামী সরকারের গণভিত্তি ধ্বসে গিয়ে এর নেতারা আত্মমর্যাদা হারিয়ে ফেলেছেন। আরও পড়ুন: মিয়ানমার ইস্যুটি ভূরাজনৈতিক নয়, অভ্যন্তরীণ বিষয় : কাদের রিজভী বলেন, বিএনপির সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ। গত অক্টোবর ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্য নিশ্চয়ই সবার মনে আছে, ‘আপস হয়ে গেছে। আমরা আছি, দিল্লিও আছে। দিল্লি আছে, আমরাও আছি’। এই কথার অর্থ দেশের জনগণ নয় পরগাছা আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব টিকে আছে দিল্লির করুণার উপর। আওয়ামী লীগের চিরাগত ঐতিহ্যই হচ্ছে নিজ দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করা। বিএসএফের গুলিতে বিজিবি মারা গেলেও আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ করার সাহস নেই। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে শতাব্দীর সেরা তামাশা দাবি করে রিজভী বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে সার্বভৌমত্ব রক্ষা না করে কাউকে খুশি করার চেষ্টা করছে সরকার।
Discussion about this post