সৌমিত্র সুমন,কলাপাড়া (পটুয়াখালী ) প্রতিনিধি: কলাপাড়ায় আবারো এক রাতে পাঁচটি বসত ঘরে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে নগদ প্রায় এক লক্ষ আশি হাজার টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুটে নেয় চোরচক্র। গতকাল রবিবার (৪ জানুয়ারী) গভীর রাতে পৌরশহরের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ সংলগ্ন এমন ঘটনা ঘটেছে। এর মাসখানেক আগেও পৌর শহরের একদম প্রান কেন্দ্রে একরাতে অভিজাত নয়টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এত জনবহুল এলাকায় একেরপর এক চুরির ঘটনায় আতংকিত পৌরবাসী। স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্থদের কাছথেকে জানাযায়,চুরি হওয়া ৫ টি বসতঘরের ৪ টিতে কয়েকদিন যাবৎ অনুপস্থিত ছিলো পরিবারের সকল সদস্য। প্রতিটি ঘরের সদর দরজা সহ ভিতর পর্যন্ত ছিলো তালাবদ্ধ। বাসাগুলোতে দীর্ঘদিন একেবারে লোকশূন্য থাকায় সব সময়েই শুনশান নীরবতা থাকত। আর এবিষটি সম্ভবত বহুদিন নজরে রেখেছে চোর চক্র। এরপর গতকাল গভীর রাতের কোন এক সময় এ সকল বাসায় হানা দেয় তারা। প্রতিটি বাসার সদর দরজার তালাভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে চক্রের সদস্যরা। এরপর ঘরে থাকা আলমারি ওয়্যারড্রব এবং বিছানা ওলটপালট করে শুধুমাত্র স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে তারা। এই ৫ টি বাসার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইতালি প্রবাসী মেহেদী আজাদ বাবু। তার স্ত্রী জানান,তার ঘর থেকে নগদ এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা এবং আনুমানিক দশ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেয় চোরের দল। এছাড়াও তাদের পার্শ্ববর্তী আনিচমোল্লার স্ত্রী বিউটি বেগম বলেন,তাদের ঘর থেকে নগদ এগারো হাজার টাকা ও ৬ ভরি স্বর্ণালংকার,আলিম সিনেমাহল সংলগ্ন ঠিকাদার মাসুদ রানার ভাড়া বাসাথেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ১ ভড়ি স্বর্ণ এবং একই বিল্ডিংয়ের তাদের রুম সংলগ্ন ওই বাড়ির মালিক ব্যাবসায়ী সোহরাব হোসেনের কক্ষ থেকেও স্বর্ণালংকার ,এছাড়াও ৯ নং ওয়ার্ডের নেসারিয়া সড়কের শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড সাবেক বিডিআর সদস্য মোঃ আক্তার হোসেনের বাসা থেকে দুইটি মোবাইল ফোন লুটেনেয় সংঘবদ্ধ চোর চক্র। কলাপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলী আহমেদ জানান,ঘটনা শোনার পরপরই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সকল বাসার তথ্য এবং পার্শবর্তী সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে চোর চক্র সনাক্তের চেষ্টা চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত কারো কাছথেকে অভিযোগ পাইনি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Discussion about this post