স্টাফ রিপোর্টার: আজ শহীদ আসাদ দিবস। ১৯৬৯ সালের এ দিন তৎকালীন পাকিস্তানি স্বৈরশাস আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে দেশেরছাত্র-জনতার ১১দফা দাবির মিছিলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় গুলি চালায় পুলিশ।সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।আহত হন আরও অনেকে। শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ আন্দোলনের যোগ করে নতুন মাত্রা।বাঙালির স্বাধিকারে দাবিতে সোচ্চার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ জেল-জুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে। আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়, যা পরে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়।এই গণ অভ্যুত্থানটিই বাংলাদেশের ইতিহাসে ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান নামে পরিচিত। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন শনিবার (২০ জানুয়ার) সকাল সাড়ে আটটা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় শহীদ আসাদ স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এসব সংগঠনের মধ্যে রয়েছে-ভাষা নিয়ে অনুসরণ পরিষদ,জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, গণতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, গণসংস্কৃতিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা নার্সিং কলেজ ছাত্রলীগসহ আরও অনেকে। এ সময় তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে শহীদ আসাদের প্রতি সম্মান প্রকাশ করেন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাংলাদেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে শহীদ আসাদএকটি অমর নাম উল্লেখ করে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন তাঁর বাণীতে বলেন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদের আত্মত্যাগ ৬৯ এর আন্দোলনকে বেগবান করে। জেল-জুলুম উপেক্ষা করে স্বাধিকারের দাবিতে সোচ্চার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজপথে নেমে আসে। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয় এবং গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, ১৯৬৯সালের গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী শহীদ আসাদ এ দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী, মুক্তিকামী মানুষের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর আত্মত্যাগ সবসময় আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে প্রেরণা যোগাবে বলেও জানান তিনি।
Discussion about this post