স্টাফ রিপোর্টার(রংপুর): দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত থাকবে কি না তা সময়ই বলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টায় রংপুর নগরীর কোর্ট চত্বরে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমন মন্তব্য করেন তিনি। ২৬টি আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করলেও দেশের প্রায় সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। তবে সমঝোতার আসনগুলোর বাইরে বেশিরভাগ জায়গাতেই তেমন আলোচনায় নেই জাপা প্রার্থীরা। ভোটের মাত্র এক সপ্তাহ আগে একদিনে দেশের পাঁচটি আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। এর মধ্যে দুইজন প্রার্থী দুটি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। সোমবার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জিএম কাদের বলেন, ‘অনেক সময় অনেক প্রার্থী নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকেন না, কেউ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ করেন, আবার কেউ ঘোষণা করেন না। কেউ এমনিতেই বসে যান। পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে আমার একটা নির্দেশ আছে, যারা নির্বাচন করতে চান, করতে পারেন। নির্বাচন করতে না চাইলে সেটিও সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে।’ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহার হুমকির কারণেও হতে পারে, অর্থের অভাবেও হতে পারে। অনেক প্রার্থী অর্থশালী হয়ে থাকে না, অর্থের কারণেও অনেকে নির্বাচন থেকে সরে যায়। তবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবার সরে যাওয়াটা ওই আসনের ভোটাররা ভালোভাবে দেখে না। নির্বাচন থেকে সরে গেলে প্রার্থীরা অন্য কারও প্ররোচণায় কিংবা সমর্থনে বা আঁতাত করে অথবা ভয়ে সরে গেছে এমন একটা ম্যাসেজ যায়। যা রাজনীতির জন্য সুখবর নয়। জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, নির্বাচন না আসা পর্যন্ত সঠিক করে বলা যাচ্ছে না। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব কি না সেটা সময়ই বলে দেবে। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।’ গণসংযোগকালে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়া, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। রংপুর-৩ আসনে নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী লড়ছেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির গোলাম মোহাম্মদ কাদের (লাঙ্গল প্রতীক), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আব্দুর রহমান রেজু (একতারা), বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক (ডাব), জাসদের শহিদুল ইসলাম (মশাল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম (আম) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
Discussion about this post