আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হামাস শুক্রবার গাজায় রেড ক্রসের কাছে ২৪ জিম্মিকে হস্তান্তর করেছে, যার মধ্যে ১৩ ইসরায়েলি, ১০ থাই এবং একজন ফিলিপিনো। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩৯ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তির অধীনে এ বিনিময় হয়েছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি এক্সে লিখেছেন, ‘যাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ১৩ জন ইসরায়েলি, ১০ জন থাই নাগরিক এবং একজন ফিলিপিনো নাগরিক রয়েছে। ’ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা তালিকা অনুসারে, মুক্তি পাওয়া ১৩ ইসরায়েলি জিম্মির মধ্যে চার শিশু ও ছয়জন বৃদ্ধ নারী ছিলেন। শিশুদের বয়স দুই থেকে নয় বছরের মধ্যে। বৃদ্ধ নারীদের বয়স ৭০ বছরেরও বেশি। মুক্তি পাওয়া ১৩ জিম্মির মধ্যে আটজন তিনটি পরিবারের সদস্য। এ ছাড়া ইসরায়েলি কারাগারে আটক ৩৯ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু বন্দিকেও জিম্মি বিনিময়ের চুক্তির আওতায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান আল আনসারি। কাতার ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজা থেকে ৫০ জন বেসামরিক জিম্মির মুক্তির চুক্তি করতে গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের সঙ্গে সমন্বয় করতে তীব্র আলোচনার নেতৃত্ব দিয়েছে। আলোচনার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি সূত্র এএফপিকে নিশ্চিত করেছে, মুক্তির জন্য নির্ধারিত ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মি ছাড়াও ১০ জন থাই এবং একজন ফিলিপিনো মুক্তি পেয়েছে। আলোচনার সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি বলেছে, ‘থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাতার সফর এবং কাতার ও মিসরীয়দের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার পর তাদের মুক্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। ’ চারদিনের যুদ্ধবিরতিতে এই চুক্তির অধীনে মুক্ত হওয়ার কারণে জিম্মির সংখ্যা স্তিমিত। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ৭ অক্টোবর গাজার সামরিকীকৃত সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা চালায়। তেল আবিব বলেছে, সেই হামলায়ীক হাজার ২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৪০ জন জিম্মি হয়েছে। জবাবে ইসরায়েল হামাস শাসিত গাজায় নিরলস বোমা হামলা ও স্থল আক্রমণ শুরু করে। এতে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে হামাস সরকার জানিয়েছে, যাদের মধ্যে হাজার হাজার শিশুও রয়েছে। কাতার বলেছে, প্রাথমিক চার দিনের যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে, যদি আরো জিম্মি ও বন্দি বিনিময় নিশ্চিত করা যায়।
Discussion about this post