আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় ৩ দিনের যুদ্ধবিরতি দিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার নেতানিয়াহুকে এক টেলিফোন কলে এই আহ্বান তিনি জানান বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দু’টি উচ্চ পর্যায়ের সূত্র। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, হামাসের একটি প্রস্তাব নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও কাতারের মধ্যে। সেই প্রস্তাবে হামাস বলেছে— তারা ১০ থেকে ১৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত এবং বাকি জিম্মিদের নাম-পরিচয়ের তালিকা তৈরি করার জন্য তাদের খানিকটা সময় প্রয়োজন এবং ইসরায়েল বিরতি ঘোষণা করলে তা সম্ভব হবে। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নেতানিয়াহু উভয়ে যুদ্ধ উপদ্রুত বিভিন্ন গাজাম উপত্যকা থেকে নিরাপদে বেসামরিক লোকজনদের সরে যাওয়া, তাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য গাজায় একটি কার্যকর বিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছেন।’ গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চলানোর পর সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সেই অভিযান এখনও চলছে। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। এছাড়া হামলার প্রথম দিনই ইসরায়েল থেকে অন্তত ২৩৪ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গেছে হামাস। অন্যদিকে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১০ হাজার। এই নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু ও নারী। ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করার আগ পর্যন্ত এই যুদ্ধ তারা থামাবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ইসরায়েরের এই অবস্থানকে সমর্থন করেছে; সেই সঙ্গে গাজার বেসামরিকদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়া ও সেখানে ত্রাণ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সেখানে ‘মানবিক বিরতি’ ঘোষণার ডাক দিয়েছে। তবে রাশিয়া, চীন, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল এবং জাতিসংঘ যুদ্ধে এক সপ্তাহ পর থেকেই শুরু থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির সোচ্চার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
Discussion about this post