আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়ার পর চার শতাধিক ব্যক্তি গাজা ত্যাগ করেছেন। ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত রাফাহ ক্রসিং পার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৩৫ জন বিদেশি পাসপোর্টধারী রয়েছেন। এ ছাড়া ৭৬ জন আহত ফিলিস্তিনি রাফাহ ক্রসিং পার হয়েছেন। গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর গতকাল বুধবার প্রথমবারের মতো বেসামরিক ব্যক্তিদের জন্য রাফাহ ক্রসিং খুলে দেয় মিসর। গাজার দক্ষিণে রাফাহ ক্রসিং অবস্থিত। গাজা ও মিসরের মধ্যকার একমাত্র সীমান্ত পারাপার পয়েন্ট রাফাহ ক্রসিং। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছিল মিসর। এখন রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়ার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ব্যাপক ও জরুরি কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফল এই ক্রসিং খুলে দেওয়া। কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, রাফাহ ক্রসিং পার হওয়া বিদেশিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা আছেন। অস্ট্রেলিয়ার সরকার বলেছে, দেশটির ২০ নাগরিক ইতিমধ্যে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজা ছেড়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার ৬৫ জন নাগরিক এখনো গাজায় রয়েছেন বলে সরকারের কাছে তথ্য আছে। আন্তর্জাতিক চিকিৎসা-মানবিক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) জানিয়েছে, তাদের ২২ জন কর্মী গতকাল গাজা ত্যাগ করতে সক্ষম হয়েছেন। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০৫ জন নিহত হন। এ ছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রেখেছে হামাস।
Discussion about this post