ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,‘বিএনপি সরকারকে উৎখাত করতে চায়। তারা আন্দোলন করার জন্য নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। আমি এটা পরিষ্কার করে দেই, জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। কোনো হুমকিতে কাজ হবে না।’এসময় তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিয়ে বিএনপির কোনো লাভ হবে না। তাদের সরকার পতনের আন্দোলন ব্যর্থ হবেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে দেশের প্রথম আন্ডারওয়াটার টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে শনিবার চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কেইপিজেড মাঠে আয়োজিত মহাসমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি। সমাবেশস্থলে একটি বড় নৌকা আকৃতির মঞ্চ তৈরি করা হয়। জনসমাবেশে বিপুলসংখ্যক লোকের সমাগম ঘটে। আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশস্থল থেকে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের প্রথম বহুল প্রত্যাশিত আন্ডারওয়াটার এক্সপ্রেসওয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ উদ্বোধন করেন। বিএনপির নিন্দা করে তিনি বলেন, ‘তাদের দল শুধু মানুষ হত্যা করে, টাকা লুটপাট করে ও দুর্নীতি করে। ‘খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা চুরি করেছেন এবং সে কারণে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তার ছেলে তারেক রহমান বিদেশে পলাতক।’ তিনি বলেন, ২০০৭ সালে তারেক রহমান তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে বন্ডে সই করে রাজনীতি ছেড়ে চলে যান। ‘তিনি কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন। তিনি ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং সেজন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আমাকে হত্যার লক্ষ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায়ও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে খালেদা জিয়া ভোটে কারচুপি করেছিলেন এবং সে কারণে বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। ‘তাদের (বিএনপি) এটা মনে রাখা উচিত। তারা ভোট কারচুপিকারী, তারা জনগণের টাকা লুটেরা, তারা খুনি, বিএনপি-জামায়াত মানেই খুনি ও সন্ত্রাসী এবং তারা জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়নে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে কেউ দমাতে পারবে না। এটাই বাস্তবতা।’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য দেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।
Discussion about this post