স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে এখনও দুবার ফাইনাল খেলেছে পাকিস্তান। ২০০৭ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে প্রথমবার এবং পরের আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয়বার, একবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছে বাবর আজমদের উত্তরসূরীরা। এবার খোদ বাবর আজম বাহিনীর সামনে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালের হাতছানি। শিরোপার লক্ষ্যে আরো একধাপ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। কিন্তু অপরাজিত এবং আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তানের সামনে এবার ‘বুড়ো দল’ খ্যাত অভিজ্ঞ অস্ট্রেলিয়া। আইসিসির সবধরনের ইভেন্টের ট্রফি থাকলেও এখনও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রুপালি শিরোপাটা উঁচিয়ে ধরা হয়নি অজিদের। এবার তাদের সামনে সেই শূন্যতা পুরণের আরেকটি সুযোগ। তবে তারা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠবে বা আসরের চ্যাম্পিয়ন হবে কিনা সেই হিসেবের খেরোখাতাটার সমাধান টানা হবে আজ! দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের লড়াই। যেখানে হারলেই আসর থেকে ছিটকে যেতে হবে অর্থাৎ ব্যাগ প্যাক গুছিয়ে ধরতে হবে দেশের বিমান আর জিতলে শিরোপার জন্য লড়তে হবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে- এমন সমীকরণের ম্যাচে উত্তেজনা ছড়াবে নিশ্চয়! পাকিস্তানকে অবশ্য ফেবারিট মানছেন অস্ট্রেলিয়াও তবে তাদের লক্ষ্যও ফাইনাল। লড়াই হাড্ডা-হাড্ডি না হয়ে যাবে কোথায়! ফাইনালে ওঠার মহারণের আগে নিজ দলের খেলোয়াড়দের বাড়তি চাপ না নিয়ে যেভাবে আসরের শুরু থেকে দল খেলে আসছে সেভাবে খেলা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান রমিজ রাজা। রাজা বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত পাকিস্তান দল সত্যি ভালো করেছে। তাদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়ে আমাদের অভিভূত করেছে। আমি মনে করি না অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে বাবর আজমের ভিন্ন কিছু করার প্রয়োজন আছে। দলের উচিত কেবল উজ্জীবিত থাকা এবং ভয়ডরহীন খেলে যাওয়া।…পুরো জাতির দোয়া তোমাদের সঙ্গে আছে।’ তবে সুপার টুয়েলভে করা পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা শেষ চারেও অব্যাহত রাখতে চায় অস্ট্রেলিয়া। শক্তিশালী পাকিস্তানকে হারাতে হলে, ভালো খেলা ছাড়া কোন উপায় নেই বলে জানালেন ওয়ার্নার। তিনি বলেন, ‘শক্তিশালী এক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে হবে আমাদের। সুপার টুয়েলভে কেমন করেছে পাকিস্তান, তা সকলেই জানে। তাই ফাইনালে খেলতে হলে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন বিভাগেই জ্বলে উঠতে হবে আমাদের।’ অবশ্য অভিজ্ঞতার দিকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনেক এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। এখন পর্যন্ত ২৩ বারের মুখোমুখি দেখায় ইংল্যান্ড জিতেছে নয় বার। একটি ড্র ও পরিত্যাক্ত হয়েছে একটি ম্যাচ। বাকি ১২টিতে জয় পেয়েছে পাকিস্তান দল। বিশ্বকাপের হিসেবে দুদলের অতীত জয়ের রেকর্ড সমান। ছয়বারের দেখায় তিনবার করে জিতেছে দুদল। এবারের আসরে শুরু থেকেই দুর্দান্ত রয়েছে পাকিস্তান দল। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং কিংবা জয়- সব জায়গায় বাবর-শাহিনরা ছিলেন অপরাজিত। অন্যদিকে জয়ে শুরু করা অজিরা খেই হারিয়েছিল ইংল্যান্ডের সঙ্গে। পরে অবশ্য পয়েন্ট টেবিলের রান রেটের লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া। এবার তাদের সামনে শক্তিশালী পাকিস্তান, যাদের তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ভেঙে শিরোপার দৌড়ে এগিয়ে থাকতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে।
Discussion about this post